জাতীয় ডেস্কঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় বাবর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার আগে বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুইটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
২০০৮ সাল থেকে কারাগারে থাকা সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। তার মধ্যে তিনটি মামলায় তার সাজা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তার ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির আদেশ হয়। এখনো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং আয়কর ফাঁসির মামলাসহ আরও ছয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।