জাতীয় ডেস্কঃ
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়েছে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পায় বলে মনে করেন তিনি। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ফখরুল।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, তাই নির্বাচন করতে ভয় পায়। সরকার সংলাপের নামে অর্থহীন তামাশা করছে। আমরা এই তামাশার সংলাপ চাই না। এই সরকারের পদত্যাগ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হাত বেঁধে রেখেছে। দুর্নীতির দায়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ৬০ জনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। বারবার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বললেও সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এ ব্যাপারে বারবার আইন দেখান আইনমন্ত্রী। অথচ তারা নিজেরাই বেআইনিভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। আগের রাতে নির্বাচন করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গত ১৪ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা দেশটাকে একটা আস্তাকুঁড়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সব ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের আমলে কেউ ভালো নেই। তারা বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে একজনকে চাকরি দেবে। কিছুই করেনি এই সরকার। তারা জনগণের সাথে তামাশা করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন গঠন করে লাভ হবে না। সরকার তো নিজেই নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সব নির্বাচনে সরকার দলীয়রা জোর করে জিতছে। এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান মিলন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ জেলা পর্যায়ের নেতারা।