ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রথমবারে সূর্যমুখী চাষ, কৃষকের মুখে হাসিঁ

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অপার। তাই কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুব্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে পরীক্ষামূলকভাবে মুরাদনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১১ হেক্টর জমিতে প্রথমবারের মতো উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুট উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে কৃষি অধিদপ্তর মনে করছে।

নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে ও উপজেলার বিভিন্ন সূর্যমুখি চাষ করা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুটে থাকা হলুদ সূর্যমসুখি ফুলের সমাহারে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। চারদিকে হলুদ রঙের ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে কৃষকের জমি। এটি যেন ফসলী জমি নয়, এ এক দৃষ্টি নন্দন বাগান। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতি প্রেমীই নয় বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। তবে সূর্যমুখি ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মুলত ভোজ্য তেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এ চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার আন্দিকোট, পূর্বধইর পশ্চিম, বাঙ্গরা পূর্ব, কামাল্লা, যাত্রাপর, রামচন্দ্রপুর উত্তর, রামচন্দ্রপুর দক্ষিন, মুরাদনগর, নবীপুর পূর্ব, নবীপুর পশ্চিম, ধামঘর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া, টনকি মোট ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭০ জন কৃষক ১১ হেক্টর জমিতে প্রণোদনার প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকরা এফ-১ (হাইব্রিট) জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা শুরু করেছেন। এতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ৭০ জন কৃষক সুবিধাভোগি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে খামারে আসছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন। বর্তমানে একঘেয়েমী ধান চাষ করে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হচ্ছেন না। ধান চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় সেই টাকার ধান পাওয়া যায় না। তাই অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ৭মণ থেকে ১০মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০ লিটার থেকে ২০০লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের বাজার সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০টাকা। প্রতি কেয়ার জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্য তেলের আকাশ ছোঁয়া দাম হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের। এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তাই ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য এই তেল অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্য সম্মত।

বাখরনগর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। এটি শুধু একটি ফসলই নয় জমিতে এসে অনেক মানুষ বিনোদনও নিচ্ছে। আবার অনেকে পরিবারের সদস্যদের জমিতে এনে ছবি তুলে আনন্দ নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! শুনছি এটি খুবই লাভজনক একটি ফসল। ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছেই ফুল ধরেছে। আশা করি সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে। লাভবান হতে পারব ইনশাআল্লাহ। কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে ধানের পরিবর্তে আগামী বছর আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে দেখে এলাকার অনেক কৃষকরা সূর্যমূখী ফুলের চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এখলাছুর রহমান বলেন, সূর্যমুখী একদিকে মনোমুগ্ধকর অন্যদিকে লাভজনক ফসল। কৃষকদের বিস্তারিত জানিয়ে সূর্যমুখী আবাদ করার পরিকল্পনা করি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ২০-২২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৬০-৬৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর সাভারে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ করবে কৃষকরা। সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। সোয়াবিন ও সরিষা ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ করবে সূর্যমুখী তেল। বেশি লাভজনক ফসল সূর্যমুখী। আশা করছি ভালে ফলন হবে এবং আগামীতে এই উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ ব্যাপক হারে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আমি আশাবাদী। প্রথমবার কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হবেন। কৃষকদেরকে এসব তেল প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাত করার ক্ষেত্রেও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে প্রথমবারে সূর্যমুখী চাষ, কৃষকের মুখে হাসিঁ

আপডেট সময় ১০:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অপার। তাই কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুব্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে পরীক্ষামূলকভাবে মুরাদনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১১ হেক্টর জমিতে প্রথমবারের মতো উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুট উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে কৃষি অধিদপ্তর মনে করছে।

নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে ও উপজেলার বিভিন্ন সূর্যমুখি চাষ করা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুটে থাকা হলুদ সূর্যমসুখি ফুলের সমাহারে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। চারদিকে হলুদ রঙের ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে কৃষকের জমি। এটি যেন ফসলী জমি নয়, এ এক দৃষ্টি নন্দন বাগান। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতি প্রেমীই নয় বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। তবে সূর্যমুখি ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মুলত ভোজ্য তেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এ চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার আন্দিকোট, পূর্বধইর পশ্চিম, বাঙ্গরা পূর্ব, কামাল্লা, যাত্রাপর, রামচন্দ্রপুর উত্তর, রামচন্দ্রপুর দক্ষিন, মুরাদনগর, নবীপুর পূর্ব, নবীপুর পশ্চিম, ধামঘর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া, টনকি মোট ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭০ জন কৃষক ১১ হেক্টর জমিতে প্রণোদনার প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকরা এফ-১ (হাইব্রিট) জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা শুরু করেছেন। এতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ৭০ জন কৃষক সুবিধাভোগি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে খামারে আসছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন। বর্তমানে একঘেয়েমী ধান চাষ করে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হচ্ছেন না। ধান চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় সেই টাকার ধান পাওয়া যায় না। তাই অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ৭মণ থেকে ১০মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০ লিটার থেকে ২০০লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের বাজার সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০টাকা। প্রতি কেয়ার জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্য তেলের আকাশ ছোঁয়া দাম হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের। এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তাই ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য এই তেল অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্য সম্মত।

বাখরনগর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। এটি শুধু একটি ফসলই নয় জমিতে এসে অনেক মানুষ বিনোদনও নিচ্ছে। আবার অনেকে পরিবারের সদস্যদের জমিতে এনে ছবি তুলে আনন্দ নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! শুনছি এটি খুবই লাভজনক একটি ফসল। ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছেই ফুল ধরেছে। আশা করি সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে। লাভবান হতে পারব ইনশাআল্লাহ। কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে ধানের পরিবর্তে আগামী বছর আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে দেখে এলাকার অনেক কৃষকরা সূর্যমূখী ফুলের চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এখলাছুর রহমান বলেন, সূর্যমুখী একদিকে মনোমুগ্ধকর অন্যদিকে লাভজনক ফসল। কৃষকদের বিস্তারিত জানিয়ে সূর্যমুখী আবাদ করার পরিকল্পনা করি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ২০-২২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৬০-৬৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর সাভারে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ করবে কৃষকরা। সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। সোয়াবিন ও সরিষা ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ করবে সূর্যমুখী তেল। বেশি লাভজনক ফসল সূর্যমুখী। আশা করছি ভালে ফলন হবে এবং আগামীতে এই উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ ব্যাপক হারে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আমি আশাবাদী। প্রথমবার কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হবেন। কৃষকদেরকে এসব তেল প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাত করার ক্ষেত্রেও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।