ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে নৌকার সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার, ছবি ভাইরাল

মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় তিতাস নদী পার হতে নৌকা দিয়ে সাঁকো তৈরী করেছে স্থানীয় মাঝিরা। সেই সাঁকো দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার লোকজন পার হচ্ছে। সম্প্রতি সেই নৌকার সাঁকোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে একটি ব্রিজের দাবি জানান স্থানীয়রা।

মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের পিপিড়িয়াকান্দা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবিরবাজার পর্যন্ত ওই নৌকার সাঁকোটি। ওই স্থানটি মুরাদনগর, বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর এই তিনটি উপজেলার মোহনা হওয়ায় কখনো নৌকার সাঁকো, কখনো খেয়ার নৌকায় এই অঞ্চলের লোকজন পারাপার কওে হয়ে থাকেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই পাড়ে উল্লেখযোগ্য দুটি প্রাচীন বাজার। মুরাদনগর উপজেলার পিপড়িয়াকান্দা বাজার থেকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজার খেয়া ঘাট। তিতাস নদীর দুই পাড়ে সারি সারি নৌকা। পিপড়িয়াকান্দার উত্তর পাশ লাগোয়া নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল। নৌকায় প্রতিবার পার হতে যাত্রীদের ৫ টাকা করে দিতে হয়। কচুরিপানা ভর্তি নদীতে নৌকা আটকে যায়। মাঝি দুই হাতে কচুরিপানা সরান। এইভাবে ৫ মিনিটের নদী পার হতে কখনো ১০ মিনিটও লেগে যায়।
মুরাদনগর উজেলার পিপড়িয়াকান্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া বলেন, এখানে ব্রিজ না থাকায় দুই পাড়ের তিন উপজেলার মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত যোগাযোগের জন্য ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ফরদাবাদ রবির বাজার থেকে নবীনগরের ডুবাইচাইল, বাজে বিশারা, ভিটি বিশারা এবং মুরাদনগরের পিপড়িয়াকান্দা, চন্দনাইলসহ আশপাশের গ্রামের এখান দিয়ে যাতায়েত করে। এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের জন্য এখানে একটি ব্রিজ প্রয়োজন।

নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, এখানে তিতাস নদীর ওপর ব্রিজ হলে আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

নৌকার মাঝি পিপড়িয়াকান্দা গ্রামের মোখলেছ মিয়া বলেন, আমরা অর্ধশতাধিক মাঝি এখানে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করি। মাঝে মাঝে নদীতে কচুরিপানা জমাট বেঁধে যায়। তখন নৌকা চালানো যায় না। সে সময় আমরা নৌকা সারিতে রেখে সাঁকোর মতো করে ফেলি। তার ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে পার হয়।

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এখানে ব্রিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি যাচাই করে দেখব। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে নৌকার সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার, ছবি ভাইরাল

আপডেট সময় ০৪:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় তিতাস নদী পার হতে নৌকা দিয়ে সাঁকো তৈরী করেছে স্থানীয় মাঝিরা। সেই সাঁকো দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার লোকজন পার হচ্ছে। সম্প্রতি সেই নৌকার সাঁকোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে একটি ব্রিজের দাবি জানান স্থানীয়রা।

মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের পিপিড়িয়াকান্দা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবিরবাজার পর্যন্ত ওই নৌকার সাঁকোটি। ওই স্থানটি মুরাদনগর, বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর এই তিনটি উপজেলার মোহনা হওয়ায় কখনো নৌকার সাঁকো, কখনো খেয়ার নৌকায় এই অঞ্চলের লোকজন পারাপার কওে হয়ে থাকেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই পাড়ে উল্লেখযোগ্য দুটি প্রাচীন বাজার। মুরাদনগর উপজেলার পিপড়িয়াকান্দা বাজার থেকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজার খেয়া ঘাট। তিতাস নদীর দুই পাড়ে সারি সারি নৌকা। পিপড়িয়াকান্দার উত্তর পাশ লাগোয়া নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল। নৌকায় প্রতিবার পার হতে যাত্রীদের ৫ টাকা করে দিতে হয়। কচুরিপানা ভর্তি নদীতে নৌকা আটকে যায়। মাঝি দুই হাতে কচুরিপানা সরান। এইভাবে ৫ মিনিটের নদী পার হতে কখনো ১০ মিনিটও লেগে যায়।
মুরাদনগর উজেলার পিপড়িয়াকান্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া বলেন, এখানে ব্রিজ না থাকায় দুই পাড়ের তিন উপজেলার মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত যোগাযোগের জন্য ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ফরদাবাদ রবির বাজার থেকে নবীনগরের ডুবাইচাইল, বাজে বিশারা, ভিটি বিশারা এবং মুরাদনগরের পিপড়িয়াকান্দা, চন্দনাইলসহ আশপাশের গ্রামের এখান দিয়ে যাতায়েত করে। এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের জন্য এখানে একটি ব্রিজ প্রয়োজন।

নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, এখানে তিতাস নদীর ওপর ব্রিজ হলে আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

নৌকার মাঝি পিপড়িয়াকান্দা গ্রামের মোখলেছ মিয়া বলেন, আমরা অর্ধশতাধিক মাঝি এখানে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করি। মাঝে মাঝে নদীতে কচুরিপানা জমাট বেঁধে যায়। তখন নৌকা চালানো যায় না। সে সময় আমরা নৌকা সারিতে রেখে সাঁকোর মতো করে ফেলি। তার ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে পার হয়।

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এখানে ব্রিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি যাচাই করে দেখব। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।