ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে আশ্রয়ন প্রকল্পের অনিয়ম দেখে ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক

বেলাল উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেখতে এসে বিভিন্ন অনিয়ম দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড) আল মামুন মুর্শেদ। এ সময় এক নম্বরের পরিবর্তে নি¤œমানের ইট ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলেও দিতে পরেননি কোন সদুত্তর।

বুধবার দুপুরে উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।

সংশ্লিষট সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা দেখাশোনার জন্য লোকবল না থাকা ও ঘরগুলো নির্মাণে দুই নম্বর ইট ব্যবহার করার কারণ জানতে চান আল মামুন মুর্শেদ। এ সময় দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই খান আমতা আমতা করতে থাকেন। এ অবস্থা দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ কর্মকর্তা। তিনি প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ী ভিত্তিতে দ্রুত একজন সুপারভাইজার নিয়োগ এবং দুই নম্বর ইট দ্রুত অপসারণ করে এক নম্বর ইট ব্যবহার করার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পটিতে ৩৭টি ঘর নির্মানের কাজ চলছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা। পরিদর্শনের সময় প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান। আল মামুন মুর্শেদ প্রায় আধা ঘন্টা এ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাবিরুল ইসলাম খান, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি, ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদির।

পরিদর্শ কালে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে নিয়োজিতদের উদ্দেশে আল মুর্শেদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এ আশ্রয়ণ প্রকল্প কাজে কোন ভেজাল বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। তিনি অচিরেই ফের প্রকল্প পরিদর্শনে আসবেন এবং উপজেলা প্রতিটি প্রকল্প পরিদর্শন করবেন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানিয়রা জানান, এই প্রকল্পের কাজ শুরু থেকে দ্ইু নম্বর ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সকালেও রাস্তার পাশে দুই নম্বর ইটের স্তুপও ছিল। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসার কথা শুনে ট্রাক্টর দিয়ে কিছু ইট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই খান দুই নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে বলেন, ইট ভাটার মালিকরা এক নম্বর ইটের সাথে দুই নম্বর ইট মিশিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে কিছু দুই নম্বর ইট ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখনতো ইটের সৃজন নয়, নতুন ইট আসতে জানুয়ারি মাস লাগবে। তাই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য সামান্য কিছু দুই নম্বর ইট চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ, কোন অবস্থাতেই আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ দুই নম্বর ইট দিয়ে করা যাবেনা। আমি এখানে নতুন এসেছি, অচিরেই উপজেলার সকল আশ্রয়ন প্রকল্পে যাব। প্রকল্পের ঘর নির্মাণে কোন প্রকার ত্রুটি পেলে বরদাস্ত করা হবেনা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে আশ্রয়ন প্রকল্পের অনিয়ম দেখে ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক

আপডেট সময় ০২:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

বেলাল উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেখতে এসে বিভিন্ন অনিয়ম দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড) আল মামুন মুর্শেদ। এ সময় এক নম্বরের পরিবর্তে নি¤œমানের ইট ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলেও দিতে পরেননি কোন সদুত্তর।

বুধবার দুপুরে উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।

সংশ্লিষট সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা দেখাশোনার জন্য লোকবল না থাকা ও ঘরগুলো নির্মাণে দুই নম্বর ইট ব্যবহার করার কারণ জানতে চান আল মামুন মুর্শেদ। এ সময় দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই খান আমতা আমতা করতে থাকেন। এ অবস্থা দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ কর্মকর্তা। তিনি প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ী ভিত্তিতে দ্রুত একজন সুপারভাইজার নিয়োগ এবং দুই নম্বর ইট দ্রুত অপসারণ করে এক নম্বর ইট ব্যবহার করার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পটিতে ৩৭টি ঘর নির্মানের কাজ চলছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা। পরিদর্শনের সময় প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান। আল মামুন মুর্শেদ প্রায় আধা ঘন্টা এ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাবিরুল ইসলাম খান, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি, ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদির।

পরিদর্শ কালে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে নিয়োজিতদের উদ্দেশে আল মুর্শেদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এ আশ্রয়ণ প্রকল্প কাজে কোন ভেজাল বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। তিনি অচিরেই ফের প্রকল্প পরিদর্শনে আসবেন এবং উপজেলা প্রতিটি প্রকল্প পরিদর্শন করবেন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানিয়রা জানান, এই প্রকল্পের কাজ শুরু থেকে দ্ইু নম্বর ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সকালেও রাস্তার পাশে দুই নম্বর ইটের স্তুপও ছিল। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসার কথা শুনে ট্রাক্টর দিয়ে কিছু ইট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই খান দুই নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে বলেন, ইট ভাটার মালিকরা এক নম্বর ইটের সাথে দুই নম্বর ইট মিশিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে কিছু দুই নম্বর ইট ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখনতো ইটের সৃজন নয়, নতুন ইট আসতে জানুয়ারি মাস লাগবে। তাই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য সামান্য কিছু দুই নম্বর ইট চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ, কোন অবস্থাতেই আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ দুই নম্বর ইট দিয়ে করা যাবেনা। আমি এখানে নতুন এসেছি, অচিরেই উপজেলার সকল আশ্রয়ন প্রকল্পে যাব। প্রকল্পের ঘর নির্মাণে কোন প্রকার ত্রুটি পেলে বরদাস্ত করা হবেনা।