বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় যোগদানের দেড়মাসের মধ্যেই ওসি ইকবাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।১৮অক্টোবর মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার এ সংক্রান্ত এক লিখিত আদেশ প্রদান করেন।একই ঘটনায় এর আগে দুই দারোগা সহ তিনজনকে সাসপেন্ড করেন জেলা পুলিস সুপার।
ওসির প্রত্যাহারের বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা সুত্র জানায় দেড় মাসেই প্রত্যাহারের বিষয়টি থানার আলোচিত চাপিতলায় গ্রামে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে জোর পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে এক নারীকে ধর্ষন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারনের ঘটনায় থানায় ভিকটিমের পিতা মামলা করতে গেলে পুলিশ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ¯্রফে চুরির মামলা নেয় ও মামলার প্রধান আসামী জাকিরকে গ্রেফতার না করে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে বিচার না পেলে নারীর আতœহত্যার হুমকি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নজরে আসে। জেলা পুলিশ সুপার মো: আবদুল মান্নানের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরাদনগর সার্কেল পিযুষ চন্দ্র দাস ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পান। তিনি ওইদিনই ধর্ষন, পর্নোগ্রাফী ও দুস্যতার বিষয়ে মামলা রুজু করার নির্দেশ প্রদান করেন একই সাথে পুলিশের কর্তব্য কাজে অবহেলা সম্পর্কে জেলা পুলিশ সুপারকে অবগত করেন।এ কারনেই ওসি ইকবাল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।এর আগে জেলা পুলিশ সুপার ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ওমর ফারুক, এএসআই আতাউর রহমান এবং কনস্টবল মামুনকে কর্তব্য কাজে অবহেলার দায়ে সাসপেন্ড করেন। চাপিতলার আলোচিত এ ঘটনায় দেড়মাসের মধ্যেই ওসির প্রত্যাহারের বিষয়টি এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরাদনগর সার্কেল পিযুষ চন্দ্র দাস বিষয়টি এড়িয়ে বলেন যেহেত সরকারী চাকরী করেন সেহেতু কতৃপক্ষ বদলি করতে পারেন এটাই স্বাভাবিক।