ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে চাইলে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে : কাদের

জাতীয় ডেস্কঃ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি যদি রাজনীতি করতে চান তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি দণ্ডিত, এই অবস্থানটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য তিনি নন। বিএনপির নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সকল কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হলো গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা, তারা যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের জন্য বিএনপি সব সময় সেরা ছিল। আন্দোলনের সফলতা না পেয়ে বিএনপি এখন বিশৃঙ্খলা ও সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সংঘাতের দিকে যেতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সতর্ক ও প্রস্তুত আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি, শান্তি চাই। বিশৃঙ্খলা কেন করব? পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আমরা দেইনি। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি আছে। আমরা শান্তি সমাবেশ, গণসংযোগ করছি। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। রাজনীতিতে ও নির্বাচনে প্রতিযোগিতা চাই। বিএনপি সংঘাত চায়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোন সংঘাতময় পরিস্থিতি নেই। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে লোক লাগে, সংঘাত করতে দু’চারজন হলেই চলে। বিএনপির সে স্বভাব ও শিক্ষা আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে।’

বিদেশী চাপ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই অ্যাম্বাসি ও হাইকমিশনে নালিশ করতে যায়। এজন্য বিএনপিকে মানুষ নালিশ পার্টি বলে। চাপে আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপিই চাপে আছে। ডোনাল্ড লু’র সাথে বৈঠক না হওয়ায় বিএনপি এখন হতাশ। আমরা চাপে নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলছি।’

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে চিত্রনায়িকা কেয়া রচিত ‘প্রেমিকের নাম কবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে চাইলে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে : কাদের

আপডেট সময় ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জাতীয় ডেস্কঃ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি যদি রাজনীতি করতে চান তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি দণ্ডিত, এই অবস্থানটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য তিনি নন। বিএনপির নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সকল কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হলো গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা, তারা যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের জন্য বিএনপি সব সময় সেরা ছিল। আন্দোলনের সফলতা না পেয়ে বিএনপি এখন বিশৃঙ্খলা ও সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সংঘাতের দিকে যেতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সতর্ক ও প্রস্তুত আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি, শান্তি চাই। বিশৃঙ্খলা কেন করব? পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আমরা দেইনি। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি আছে। আমরা শান্তি সমাবেশ, গণসংযোগ করছি। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। রাজনীতিতে ও নির্বাচনে প্রতিযোগিতা চাই। বিএনপি সংঘাত চায়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোন সংঘাতময় পরিস্থিতি নেই। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে লোক লাগে, সংঘাত করতে দু’চারজন হলেই চলে। বিএনপির সে স্বভাব ও শিক্ষা আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে।’

বিদেশী চাপ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই অ্যাম্বাসি ও হাইকমিশনে নালিশ করতে যায়। এজন্য বিএনপিকে মানুষ নালিশ পার্টি বলে। চাপে আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপিই চাপে আছে। ডোনাল্ড লু’র সাথে বৈঠক না হওয়ায় বিএনপি এখন হতাশ। আমরা চাপে নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলছি।’

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে চিত্রনায়িকা কেয়া রচিত ‘প্রেমিকের নাম কবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস