ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

প্রতিদিন একজন করে উপদেষ্টা অফিসে যাওয়ার আগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যাওয়া উচিত। এতে করে আহতরা উৎসাহ, সাহস পাবে এবং হাসপাতালের ডাক্তার ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও যথার্থ চিকিৎসা দিতে বাধ্য থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ৫ বারের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির নেতা কায়কোবাদ আরো বলেন, এখানে এসে আমি বাকরুদ্ধ। কি নির্মমভাবে নির্যাতন করে তরুন ছেলেদের পঙ্গু করে দিয়েছে জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার। এখনো আহতরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের অবিলম্বে যথার্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ পবিত্র জমজমের পানি, খেজুর ও ফল নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আহত ছাত্র জনতাকে দেখতে যান।

সাবেক এ মন্ত্রীকে পেয়ে চিকিৎসারত আহতরা নিজেদের মনের আক্ষেপ জানান। তাদের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে যথার্থ চিকিৎসা ও মর্যাদার আশ্বাস দেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

পুলিশের গুলিতে দু’চোখ হারানো জামাল হোসেন বলেন, আপনার কথা (কায়কোবাদ) অনেক শোনেছি। আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তবে আজ এমন এক সময়ে আপনাকে কাছে পেলাম যখন আমি পুলিশের গুলিতে অন্ধ।

হাসপাতালে চিকিৎসারত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক হিল্লোল বলেন, আমি দেশের ৫ জন নেতাকে আইডল মানি। তার মধ্যে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অন্যতম। স্যার আপনি এসেছেন আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের উপর যেন বৈষম্য না হয়।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার আপনি নিজেই তো আমাদের মত নির্যাতিত। দীর্ঘ ১৩ বছর দেশে আসতে পারেননি। আপনাকে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আপনি আসাতে আমরা ধন্য। কিন্তুু আমাদের আন্দোলনে যারা আজ উপদেষ্টা। তারা তো আমাদের দেখতে আসেনা। বরং ক্যাটাগরির মাধ্যমে বৈষম্য তৈরি করছে।

উল্লেখ্য যে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ মুরাদনগরের ৭ পরিবারকে প্রথম পর্বে ৫০ হাজার করে এবং ২য় পর্বে ১০ হাজার এবং ৩ টি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মান করে দেন সাবেক মন্ত্রী ও ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। এছাড়াও মুরাদনগরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা খরচ এবং ঢাকা এনে চিকিৎসা সেবা দেন তিনি।

ট্যাগস

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

আপডেট সময় ১২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

প্রতিদিন একজন করে উপদেষ্টা অফিসে যাওয়ার আগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যাওয়া উচিত। এতে করে আহতরা উৎসাহ, সাহস পাবে এবং হাসপাতালের ডাক্তার ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও যথার্থ চিকিৎসা দিতে বাধ্য থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ৫ বারের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির নেতা কায়কোবাদ আরো বলেন, এখানে এসে আমি বাকরুদ্ধ। কি নির্মমভাবে নির্যাতন করে তরুন ছেলেদের পঙ্গু করে দিয়েছে জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার। এখনো আহতরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের অবিলম্বে যথার্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ পবিত্র জমজমের পানি, খেজুর ও ফল নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আহত ছাত্র জনতাকে দেখতে যান।

সাবেক এ মন্ত্রীকে পেয়ে চিকিৎসারত আহতরা নিজেদের মনের আক্ষেপ জানান। তাদের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে যথার্থ চিকিৎসা ও মর্যাদার আশ্বাস দেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

পুলিশের গুলিতে দু’চোখ হারানো জামাল হোসেন বলেন, আপনার কথা (কায়কোবাদ) অনেক শোনেছি। আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তবে আজ এমন এক সময়ে আপনাকে কাছে পেলাম যখন আমি পুলিশের গুলিতে অন্ধ।

হাসপাতালে চিকিৎসারত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক হিল্লোল বলেন, আমি দেশের ৫ জন নেতাকে আইডল মানি। তার মধ্যে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অন্যতম। স্যার আপনি এসেছেন আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের উপর যেন বৈষম্য না হয়।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার আপনি নিজেই তো আমাদের মত নির্যাতিত। দীর্ঘ ১৩ বছর দেশে আসতে পারেননি। আপনাকে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আপনি আসাতে আমরা ধন্য। কিন্তুু আমাদের আন্দোলনে যারা আজ উপদেষ্টা। তারা তো আমাদের দেখতে আসেনা। বরং ক্যাটাগরির মাধ্যমে বৈষম্য তৈরি করছে।

উল্লেখ্য যে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ মুরাদনগরের ৭ পরিবারকে প্রথম পর্বে ৫০ হাজার করে এবং ২য় পর্বে ১০ হাজার এবং ৩ টি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মান করে দেন সাবেক মন্ত্রী ও ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। এছাড়াও মুরাদনগরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা খরচ এবং ঢাকা এনে চিকিৎসা সেবা দেন তিনি।