ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম টেস্ট : ২য় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ৩২৬ রানে পিছিয়ে

খেলাধূলা ডেস্কঃ

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৮৭ রান করেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের ৫১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তারা এখন বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অবশ্য ৩২৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারিরা। হাতে আছে ৯ উইকেট। এর আগে নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই স্কোর রানের খাতা না খুলতেই দিমুথ করুণারতেœকে হারানোর পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন কুশল মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চাপে পড়ে যেতে পারতো স্বাগতিক শিবির।

মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে ক্যাচ মিস না হলে শুরুতেই বিদায় নিতেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে বেশ ভুগিয়েছেন লঙ্কান ওপেনার। সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে তিনি। শতক হাঁকিয়ে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ানডাউনে নামা ধনাঞ্জয়া।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন করুণারতেœ। একমাত্র উইকেটশিকারি মিরাজের হাতেই নতুন জীবন পান মেন্ডিস। ক্যাচটি অবশ্য সহজও ছিল না। দ্বিতীয় স্লিপ থেকে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আয়ত্তে নিতে পারেননি। বরং প্রথম স্লিপে থাকা ইমরুল ভালো ক্যাচিং পজিশনে ছিলেন।

এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চালকের আসনে থেকে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৭৪। লক্ষ্য পূরণ হয়নি ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুল হকের। মাত্র ১ রান যোগ করেই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন চোখ ধাঁধানো ইনিংসের মালিক। রঙ্গনা হেরাথের বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস ও ডাবল সেঞ্চুরি ছোঁয়ার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত হলো তার। থামেন ১৭৬ রানে। ২১৪ বলের সাজানো ইনিংসটিতে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিল।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে যান ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট অধিনায়ত্বের অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজ ২০ (রানআউট) ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ২৪ রান করেন। মুমিনুল-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটে ভর সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় দল।

আগেরদিন মুমিনুলের সঙ্গে ২৩৬ রানের রেকর্ড তৃতীয় জুটিতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মুশফিক (৯২)। তামিম ইকবাল ৫২, ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৪০। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুই হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ। সফরকারীদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন হেরাথ ও পেসার সুরাঙ্গা লাকমল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম টেস্ট : ২য় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ৩২৬ রানে পিছিয়ে

আপডেট সময় ০১:৩২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৮৭ রান করেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের ৫১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তারা এখন বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অবশ্য ৩২৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারিরা। হাতে আছে ৯ উইকেট। এর আগে নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই স্কোর রানের খাতা না খুলতেই দিমুথ করুণারতেœকে হারানোর পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন কুশল মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চাপে পড়ে যেতে পারতো স্বাগতিক শিবির।

মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে ক্যাচ মিস না হলে শুরুতেই বিদায় নিতেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে বেশ ভুগিয়েছেন লঙ্কান ওপেনার। সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে তিনি। শতক হাঁকিয়ে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ানডাউনে নামা ধনাঞ্জয়া।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন করুণারতেœ। একমাত্র উইকেটশিকারি মিরাজের হাতেই নতুন জীবন পান মেন্ডিস। ক্যাচটি অবশ্য সহজও ছিল না। দ্বিতীয় স্লিপ থেকে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আয়ত্তে নিতে পারেননি। বরং প্রথম স্লিপে থাকা ইমরুল ভালো ক্যাচিং পজিশনে ছিলেন।

এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চালকের আসনে থেকে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৭৪। লক্ষ্য পূরণ হয়নি ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুল হকের। মাত্র ১ রান যোগ করেই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন চোখ ধাঁধানো ইনিংসের মালিক। রঙ্গনা হেরাথের বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস ও ডাবল সেঞ্চুরি ছোঁয়ার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত হলো তার। থামেন ১৭৬ রানে। ২১৪ বলের সাজানো ইনিংসটিতে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিল।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে যান ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট অধিনায়ত্বের অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজ ২০ (রানআউট) ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ২৪ রান করেন। মুমিনুল-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটে ভর সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় দল।

আগেরদিন মুমিনুলের সঙ্গে ২৩৬ রানের রেকর্ড তৃতীয় জুটিতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মুশফিক (৯২)। তামিম ইকবাল ৫২, ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৪০। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুই হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ। সফরকারীদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন হেরাথ ও পেসার সুরাঙ্গা লাকমল।