ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজোন স্তরে নতুন ফুটো, পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনছে চীন!

 তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

এবার সবুজ গ্রহের সুরক্ষা কবজ ওজন স্তর ক্ষতি করার অভিযোগ উঠল চীনের ওপর। বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে যখন চীন্তিত সারা পৃথিবী, তখনই পরিবেশ তদন্ত ও গবেষণা সংস্থা (ইআইএ)-এর প্রকাশ করা একটি রিপোর্টে বেশ চীন্তার ভাঁজ ফেলেছে পরিবেশ গবেষক ও বিজ্ঞানীদর কপালে।

ইআইএ-এর প্রকাশ করা রিপোর্ট বলা হয়েছে, চীনে বাড়ি নির্মাণের জন্য যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাইক্লোরোফ্ল‌ুরোমিথেন বা সিএফসি-১১। যা ওজন স্তরে নতুন করে ছিদ্র সৃষ্টি করছে।

২০১০ সালে সারা বিশ্বজুড়ে ট্রাইক্লোরোফ্ল‌ুরোমিথেন বা সিএফসি-১১ এর উৎপাদনের ওপর নিষেদ্ধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু তারপরেও সেই নিষেদ্ধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চীনের ১০টি প্রভিন্স জুড়ে মোট ১৮টি সংস্থা এই বিষাক্ত রাসায়নিকের উৎপাদন জারি রেখেছে।

সিএফসি-১১ এর ব্যবহার প্রধানত চীনে বাড়ি নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এই তাপরোধী রাসায়নিক ‘এয়ার কন্ডিশনা’ মেশিনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ-এর বিল হ্রাস করে। কিন্তু তাতে পৃথিবীর যে বড় ক্ষতি হচ্ছে সেই দিকে কোনও হুঁশ নেই চীনের।

ইআইএ এর প্রকাশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি থেকে এই বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। ২০১৪-২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ২৫ শতাংশ সিএফসি-১১ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই প্রসঙ্গে চীনের ট্রাইক্লোরোফ্ল‌ুরোমিথেন উৎপাদনকারী সংস্থা ও গৃহনির্মাণ সংস্থাগুলির দাবি তারা এই রাসায়নিকের ব্যবহার আগের চেয়ে অনেক কমিয়েছে তারা। যদিও তাদের দাবি তাপরোধী হিসাবে সিএফসি-১১ এর ব্যবহারের চেয়ে ভালো কিছু নেই।

অন্যদিকে চীন সরকার এখনও বেআইনি ভাবে এই বিষাক্ত রাসায়নিকের উৎপাদন দিনে দিনে বৃদ্ধি করেই চলেছে বলেই দাবি পরিবেশ তদন্ত ও গবেষণা সংস্থা (ইআইএ)-এর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ওজোন স্তরে নতুন ফুটো, পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনছে চীন!

আপডেট সময় ০৪:২৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮
 তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

এবার সবুজ গ্রহের সুরক্ষা কবজ ওজন স্তর ক্ষতি করার অভিযোগ উঠল চীনের ওপর। বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে যখন চীন্তিত সারা পৃথিবী, তখনই পরিবেশ তদন্ত ও গবেষণা সংস্থা (ইআইএ)-এর প্রকাশ করা একটি রিপোর্টে বেশ চীন্তার ভাঁজ ফেলেছে পরিবেশ গবেষক ও বিজ্ঞানীদর কপালে।

ইআইএ-এর প্রকাশ করা রিপোর্ট বলা হয়েছে, চীনে বাড়ি নির্মাণের জন্য যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাইক্লোরোফ্ল‌ুরোমিথেন বা সিএফসি-১১। যা ওজন স্তরে নতুন করে ছিদ্র সৃষ্টি করছে।

২০১০ সালে সারা বিশ্বজুড়ে ট্রাইক্লোরোফ্ল‌ুরোমিথেন বা সিএফসি-১১ এর উৎপাদনের ওপর নিষেদ্ধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু তারপরেও সেই নিষেদ্ধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চীনের ১০টি প্রভিন্স জুড়ে মোট ১৮টি সংস্থা এই বিষাক্ত রাসায়নিকের উৎপাদন জারি রেখেছে।

সিএফসি-১১ এর ব্যবহার প্রধানত চীনে বাড়ি নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এই তাপরোধী রাসায়নিক ‘এয়ার কন্ডিশনা’ মেশিনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ-এর বিল হ্রাস করে। কিন্তু তাতে পৃথিবীর যে বড় ক্ষতি হচ্ছে সেই দিকে কোনও হুঁশ নেই চীনের।

ইআইএ এর প্রকাশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি থেকে এই বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। ২০১৪-২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ২৫ শতাংশ সিএফসি-১১ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই প্রসঙ্গে চীনের ট্রাইক্লোরোফ্ল‌ুরোমিথেন উৎপাদনকারী সংস্থা ও গৃহনির্মাণ সংস্থাগুলির দাবি তারা এই রাসায়নিকের ব্যবহার আগের চেয়ে অনেক কমিয়েছে তারা। যদিও তাদের দাবি তাপরোধী হিসাবে সিএফসি-১১ এর ব্যবহারের চেয়ে ভালো কিছু নেই।

অন্যদিকে চীন সরকার এখনও বেআইনি ভাবে এই বিষাক্ত রাসায়নিকের উৎপাদন দিনে দিনে বৃদ্ধি করেই চলেছে বলেই দাবি পরিবেশ তদন্ত ও গবেষণা সংস্থা (ইআইএ)-এর।