মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক : 
মো: নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে অপহরন হওয়া শিশু আল-আব্দুল্লাহ(০৭) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব এসময় দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এর নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য শুক্রবার রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
পরে সদর থানার রাজেন্দ্রপুর সাইন বোর্ড এলাকার একটি বাসা থেকে কামাল্লা গ্রামের মো. মোরশেদ আলমের ছেলে মো. সাঈদ সুলতান (১৯) ও নগরপাড় গ্রামের মো. কামাল পাশার ছেলে মো. রিয়াজ আহম্মেদকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে মুরাদনগর গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে অপহৃত মো. আল-আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ১৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার সময় ভিকটিম মোঃ আল-আব্দুল্লাহ তার নিজ গ্রাম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর হতে অপহরন হয়। তার পিতা মোঃ বাবুল মিয়া অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে গত ২০ ডিসেম্বর মুরাদনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-৯১২) করেন।
অপহরণের পর গত ২১ ডিসেম্বর আসামীরা মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পিতার কাছে অপহরণের কথা জানায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় তার ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।
অপহৃত আল-আব্দুল্লাহর পিতা বাবুল মিয়া অপহরনকারীদের অবস্থান গাজীপুরে জানতে পেরে গত ২১ ডিসেম্বর র্যাব-১ এর গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পে এসে অপহৃত ছেলের মুক্তির জন্য আইনগত সাহায্য কামনা করে। এরপর অপহরণের ঘটনাটি অবহিত হওয়া মাত্রই মোবাইল টেকনোলজির মাধ্যমে অপহৃত ভিকটিম ও অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, (জি), বিএন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে সদর থানার রাজেন্দ্রপুর সাইন বোর্ড এলাকার একটি বাসা হতে আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায়, তারা দুজনই একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
অপহৃত ভিকটিম ও ধৃত আসামীদের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় মাঝে মাঝে তারা ভিকটিমের বাড়িতে যাতায়াত করত। সে সুবাদে গত ১৯ ডিসেম্বর ধৃত আসামীরা ভিকটিম মোঃ আল-আব্দুল্লাহকে মুক্তিপণের আশায় মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। আসামীরা আরও জানায়, তারা নিয়মিত ক্রাইম পেট্রোল দেখে উক্ত ঘটনার পরিকল্পনা করে। আসামীদেরকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তাদের সাথে এই অপহরণকারী চক্রের আরো ৫/৬ জন জড়িত রয়েছে।
