ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: রিজভী

জাতীয় ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগ সীমাহীন কারচুপির মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় এসেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এর কারণে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে পারে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের মানুষেরা সরকারি সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। সরকার মনে হচ্ছে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই অপকর্মটির জন্য অচিরেই বিশাল রাজনৈতিক ধাক্কা খেতে হবে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারকে। জোর করে ক্ষমতায় থাকাটা তাদের জন্য হবে বিবিধ অমঙ্গলের উৎস।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো ডিজাইনে ভোট লোপাটের পর এখন মহাভোজ উৎসবের মহাসমারোহ চলছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে থানার পুলিশ স্টেশনগুলোতে। এভাবে অন্যান্য বাহিনীর ইউনিটেও চলছে ভোজের মহাউৎসব।’

রিজভী বলেন, ‘যে দল ভোটে বিজয়ী হয়, সাধারণত তাদের কর্মীরাই উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলের তথাকথিত বিজয়ে উৎসব উদযাপন করে এটা শুধু নজিরবিহীন ও হাস্যকরই নয়, হতবাক করা বিস্ময়ও বটে। এটি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে তামাশার বিকৃত প্রকাশ।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গতকাল তিনি বলেছেন, সংলাপ ও পুনরায় নির্বাচন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্টের দাবি হাস্যকর। তাহলে আমি বলতে চাই শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনটা কি খুবই সম্মানজনক হয়েছে? রাষ্ট্রের সব শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দমন করে এরকম ভোট সন্ত্রাসের একতরফা নির্বাচনের পরেও কি এটা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার?’
সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাদের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি কেড়ে নেয়া হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে গোমতী নদীর মাটি কাটার মহোৎসব, নির্বিকার প্রশাসন

সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: রিজভী

আপডেট সময় ০২:২০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগ সীমাহীন কারচুপির মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় এসেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এর কারণে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে পারে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের মানুষেরা সরকারি সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। সরকার মনে হচ্ছে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই অপকর্মটির জন্য অচিরেই বিশাল রাজনৈতিক ধাক্কা খেতে হবে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারকে। জোর করে ক্ষমতায় থাকাটা তাদের জন্য হবে বিবিধ অমঙ্গলের উৎস।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো ডিজাইনে ভোট লোপাটের পর এখন মহাভোজ উৎসবের মহাসমারোহ চলছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে থানার পুলিশ স্টেশনগুলোতে। এভাবে অন্যান্য বাহিনীর ইউনিটেও চলছে ভোজের মহাউৎসব।’

রিজভী বলেন, ‘যে দল ভোটে বিজয়ী হয়, সাধারণত তাদের কর্মীরাই উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলের তথাকথিত বিজয়ে উৎসব উদযাপন করে এটা শুধু নজিরবিহীন ও হাস্যকরই নয়, হতবাক করা বিস্ময়ও বটে। এটি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে তামাশার বিকৃত প্রকাশ।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গতকাল তিনি বলেছেন, সংলাপ ও পুনরায় নির্বাচন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্টের দাবি হাস্যকর। তাহলে আমি বলতে চাই শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনটা কি খুবই সম্মানজনক হয়েছে? রাষ্ট্রের সব শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দমন করে এরকম ভোট সন্ত্রাসের একতরফা নির্বাচনের পরেও কি এটা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার?’
সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাদের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি কেড়ে নেয়া হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।