বিনোদন :
রাধিকা মদন। ‘হট এবং ইনোসেন্ট বিউটি’ নামেই পরিচিতি লাভ করেছেন বলিউডের এই উঠতি নায়িকা। বড় প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে অভিষেক হলেও এখনও পর্যন্ত তার তেমন কোনো হিট ছবি হয়নি। তবে ছবি হিট করুক বা না করুক, অভিনয় এবং ইনোসেন্ট লুকের জন্য এই নায়িকা ইতোমধ্যেই সুপার হিট।
১৯৯৫ সালে ১ মে দিল্লির একটি পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম রাধিকার। মথুরা রোডের দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা চিত্রশিল্পী। ভাইয়ের নাম অর্জুন। তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই স্বচ্ছল।
ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি কৌতূহল ছিল রাধিকার। জ্যাজ, হিপ-হপ, ব্যালে- সব রকম নাচে প্রশিক্ষিত তিনি। নাচের একটি স্কুলও খুলে ফেলেছিলেন। ছোটবেলায় আরও একটা কারণে পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে খুব পরিচিত ছিলেন রাধিকা। সারাক্ষণই ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত থাকতেন। তার আচরণ ছিল টম-বয় প্রকৃতির।
অভিনয়ে আসার কথা কখনোই ভাবেনি রাধিকা। নাচ নিয়েই থাকবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু একটা অনুষ্ঠানে একতা কাপূরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রাধিকার সারল্য এবং সৌন্দর্য মন ছুঁয়ে গিয়েছিল একতার।
এরপর ২০১৪ সালে এই পরিচালকের রোম্যান্টিক ড্রামা ‘মেরি আশিকি তুম সে হি’-তে সুযোগ পান রাধিকা। দেড় বছর টিভিতে চলেছিল সেই সিরিয়াল। দর্শকরা রাধিকাকে পছন্দও করেছিলেন। দর্শকদের সেই ভালোবাসাই রাধিকাকে অভিনয়ের প্রতি কৌতূহলী করে তোলে। এরপর তিনি ‘ঝলক দিখলা জা’র সিজন ৮-এ প্রতিযোগী হিসাবে যোগ দেন।
রাধিকার বলিউডে অভিষেক হয় ২০১৮ সালে। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় তার প্রথম ছবির নাম ছিল ‘পটাখ ‘। খুব একটা হিট হয়নি ছবিটি। কিন্তু অভিনয়ের জন্য রাধিকা প্রশংসিত হয়েছিলেন। ফিল্মফেয়ারে বেস্ট ফিমেল ডেবিউ অভিনেত্রী হিসাবে মনোনিতও হয়েছিলেন।
এখন পর্যন্ত রাধিকা অভিনীত ছবির সংখ্যা তিনটি। বাকি দুটি হলো ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’ এবং সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘আংরেজি মিডিয়াম’। আংরেজি মিডিয়াম’ ছবিতে তার অভিনয়ের প্রশংসা করে অমিতাভ বচ্চন নিজের হাতে একটি চিরকুট পাঠিয়েছেন রাধিকাকে। সঙ্গে ফুলের তোড়াও। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে তার অনুভূতির কথা লিখেছেন রাধিকা।