মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় দেশের বাইরে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ৫বারের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (দাদা)’র অপেক্ষায় রয়েছে মুরাদনগরের আপামর জনসাধারন। এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়তার কারনে ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন এইনেতাকে দেশে আসতে দেয়নি স্বৈরাচার ক্ষমতাশীনরা। তার পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪ সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৯টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার। গত ২০২৩ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী তার মায়ের মৃত্যু হলেও মায়ের জানায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। মায়ের লাশটা দাফনের জন্যও তাকে সুযোগ দেয়নি স্বৈরাচার সরকার। মুরাদনগরে তিনি এতোটাই জনপ্রিয় যে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও অনেক ভক্ত অনুসারী রয়েছে এই সাবেক সাংসদের।
দীর্ঘদিন তিনি দেশে না থেকেওে বিশাল এ জনপদের সাধারন মানুষদের চরম ভালবাসা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাই নয়, প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন এই কায়কোবাদ। গণঅভ্যূথানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই মুরাদনগরের আপামর জনসাধারনের মুখে শুধু একটাই প্রশ্ন, কবে আসছেন তাদের দাদাভাই। একযুগের বেশি সময় ধরে দেখতে না পারা প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে সর্বস্তরের সাধারন জনতা।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ভৌগলিক অবস্থানে সবচেয়ে বড় উপজেলা হলো মুরাদনগর। ৩৪০বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বৃহৎ উপজেলাটি ২টি থানায় ২২টি ইউনিয়নে ৩১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসন। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে সম্পূর্নই ভিন্ন। সাড়ে ছয় লক্ষ জনগনের বিশাল এ জনপদের সাধারন মানুষকে স্বার্থহীন ভালবাসা দিয়ে প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসেন কায়কোবাদ। তার দক্ষ নেতৃত্বের বদৌলতে গড়ে উঠা মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি সকল মামলা হামলা মোকাবেলা করে এখন কঠিন ইস্পাতের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ। দাদা কায়কোবাদ মুরাদনগর বাসীর অত্যন্ত প্রিয় মুখ। যার কাছে সমাজের সকল স্তরের মানুষ সহজেই মনের সকল কথা বলতে পারে। বিপদে আপদেসহ সকল প্রয়োজনে তাকে পাশে পায়।
এভাবেই তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করে সংসদে এই জনপদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পাঁচবার।
দাদা কায়কোবাদের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে ষড়যন্ত্রের বেড়াজালের মধ্য দিয়ে চলছে তার জীবনযুদ্ধ। বিপুল জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। আর্তপীড়িত মানুষের কল্যানের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে পদার্পন করেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই নানান চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে এলেও আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার মসনদে বসার পর থেকেই একটি প্রভাবশালী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ২০১১সালে তিনি যখন অসুস্থ হয়ে দেশের বাহিরে চিকিৎসারত ছিলেন সে সময়ে, ষড়যন্ত্র করে তাকে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মত একটি স্পর্শকাতর মামলায় জড়িয়ে দিয়ে মুরাদনগরের মানুষের কাছ থেকে দুরে সরিয়ে দেয়।
ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু মুরাদনগরের উন্নয়নকেই ব্যাহত করেনি, বঞ্চিত করেছে সাধারন নিপিড়িত মানুষকে, অশ্রু ঝড়িয়েছে তার লাখ লাখ ভক্তের। তবুও থেমে থাকেননি তিনি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন তার প্রিয় মুরাদনগরবাসীর সাথে। সাধারন মানুষের কোন সমস্যার কথা শুনলেই দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে নিপিড়িত মানুষের সমস্যা সমাধানের ব্যাবস্থা করেছেন। মুরাদনগরের উন্নয়নের রূপকার ও আধুনিক মুরাদনগরের স্থপতি কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ মুরাদনগরের সর্বস্তরের জনগনের অন্তর জুড়ে মিশে রয়েছেন। দাদা কায়কোবাদ এমাসেই (অক্টোবর) দেশে ফিরে মুরাদনগরে আসবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে মুরাদনগর উপজেলা জোড়ে। এতে করে তাকে এক নজর দেখার জন্য মুরাদনগরের মানুষ অধিক আগ্রহে শুধু অপেক্ষাই নয় রীতিমত পাগল প্রায় হয়ে আছেন। আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা থেকে শুরু করে উপজেলাবাসীর একটাই দাবী তাদের প্রিয় দাদাকে কাছে পাওয়া। বলতে গেলে এটি এখন মুরাদনগরবাসীর একটি প্রাণের দাবীতে পরিনত হয়েছে। তিনি মিথ্যা মামলার বেড়াজাল ছিন্ন করে সকল মুরাদনগরের লাখো ভক্তের মাঝে ফিরে আসবেন এটাই প্রত্যাশা সকলের।