ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

খেলাধূলা ডেস্কঃ

শারজাহর মরুভূমির গরমে বাংলাদেশ দেখাল দাপট। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুইটিতেই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছিল টাইগাররা। শেষ ম্যাচে কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল। কিন্তু সেই আনুষ্ঠানিকতাও পরিণত হলো ইতিহাসে—সাইফ হাসানের তাণ্ডবে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ সম্পন্ন করল বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান প্রথম থেকেই ভুগেছে। ৪০ রানের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। মাঝের দিকে দারউইশ রাসুলি (৩২) ও সিদ্দিকুল্লাহ আতালের (২৮) চেষ্টা কিছুটা প্রাণ ফেরালেও নাসুম আহমেদ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে ধস নামতে থাকে একের পর এক। শেষ দিকে মুজিব উর রহমানের ১৮ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে এনে দেয় লড়াইয়ের মতো পুঁজি। নির্ধারিত ২০ ওভারে আফগানিস্তান থামে ১৪৩/৯ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন সাইফউদ্দিন—৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ২টি করে, আর শরিফুল ও রিশাদ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ হারায় পারভেজ ইমনকে (১৪)। তবে সেটিই ছিল আফগানিস্তানের একমাত্র স্বস্তি। তানজিদ হাসান (৩৩)কে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটিকে নিজেদের করে নেন সাইফ হাসান। কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল যখন মুজিব উর রহমানের এক ওভারে দুই বলে জাকের আলি (১০) ও শামিম হোসেন (০) সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু সাইফ ছিলেন অটল। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৩৫ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচ শেষ করে আসেন তিনি। নুরুল হাসান অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। বাংলাদেশ জয় পায় ১২ বল হাতে রেখে, ৬ উইকেট বাকি থাকতেই।

৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০—আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত স্পেল আর সাইফ হাসানের মারকাটারি ব্যাটিং মিলিয়ে শারজাহর এই রাত হয়ে রইল টাইগারদের।

বাঞ্ছারামপুরে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ১০ বছরের শিশু

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৬:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

খেলাধূলা ডেস্কঃ

শারজাহর মরুভূমির গরমে বাংলাদেশ দেখাল দাপট। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুইটিতেই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছিল টাইগাররা। শেষ ম্যাচে কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল। কিন্তু সেই আনুষ্ঠানিকতাও পরিণত হলো ইতিহাসে—সাইফ হাসানের তাণ্ডবে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ সম্পন্ন করল বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান প্রথম থেকেই ভুগেছে। ৪০ রানের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। মাঝের দিকে দারউইশ রাসুলি (৩২) ও সিদ্দিকুল্লাহ আতালের (২৮) চেষ্টা কিছুটা প্রাণ ফেরালেও নাসুম আহমেদ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে ধস নামতে থাকে একের পর এক। শেষ দিকে মুজিব উর রহমানের ১৮ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে এনে দেয় লড়াইয়ের মতো পুঁজি। নির্ধারিত ২০ ওভারে আফগানিস্তান থামে ১৪৩/৯ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন সাইফউদ্দিন—৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ২টি করে, আর শরিফুল ও রিশাদ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ হারায় পারভেজ ইমনকে (১৪)। তবে সেটিই ছিল আফগানিস্তানের একমাত্র স্বস্তি। তানজিদ হাসান (৩৩)কে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটিকে নিজেদের করে নেন সাইফ হাসান। কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল যখন মুজিব উর রহমানের এক ওভারে দুই বলে জাকের আলি (১০) ও শামিম হোসেন (০) সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু সাইফ ছিলেন অটল। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৩৫ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচ শেষ করে আসেন তিনি। নুরুল হাসান অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। বাংলাদেশ জয় পায় ১২ বল হাতে রেখে, ৬ উইকেট বাকি থাকতেই।

৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০—আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত স্পেল আর সাইফ হাসানের মারকাটারি ব্যাটিং মিলিয়ে শারজাহর এই রাত হয়ে রইল টাইগারদের।