দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ

গত ১৪ মাস ধরে নিখোজ যুবলীগ নেতা এটিএম তরিকুল ইসলাম টিটু’র মরদেহের হাড়, কঙ্কাল মাথার খুলি ডিবি পুলিশ কুমিল্লা ঠাকুরপাড়া একটি পানির সেপটিক থেকে উদ্ধার করে । টিটুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে দেবিদ্বার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে টিটুর বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা দেবিদ্বার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে মানববন্ধন করে দেবিদ্বার পৌর আওয়ামী যুবলীগ । এই সময় উপস্থিত ছিল পৌর যুবলীগ ও ছাএলীগের সকল নেতা কর্মীরা।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, টিটু হত্যা কারীদের দ্রুত বিচার না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে । হত্যাকারীরা যতই ক্ষমতাসীন হউক না কেন তাদের অবিলম্বে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বক্তরা আরও বলেন, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগ ও পৌর যুবলীগ একজন বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন তরিকুল ইসলাম টিটু, তার দায় কোন দিনও শোধ করার মত নয় । তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবী করেন বক্তরা ।

এদিকে দুপুর ১২ টায় টিটুর স্বজনরা ও  কুমিল্লা (উঃ)জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক ও জেলা ছাএলীগের সদস্য পিয়াস ভূইয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা টিপু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেবিদ্বার থানা সামনে বিক্ষোভ করে। পরে দেবিদ্বার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মিজানুর রহমান টিটু হত্যাকারীদের বিচারের আশ্বাসে দিলে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে।

উল্লেখ্য যে, গত ১৪ মাস আগে নিখোঁজ হন দেবিদ্বার যুবলীগ নেতা এটিএম তরিকুল ইসলাম টিটু। পরে তার স্ত্রী শোভা নিখোজ হওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়রী করে । সাধারণ ডায়রীর কোন সুফল না পেয়ে নিহত টিটুর মা দেবিদ্বার সরকারী শিশু পরিবারের শিক্ষিকা রাজিয়া খাতুন আদালতে মামলা করে। পরে আদালত মামলাটি কুমিল্লা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে । সন্দেহজনক টিপুর বন্ধু কুমিল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরমান খান ও লিমনকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করলে টিপুকে হত্যার কথা স্বীকার করে টিটুর লাশ কোথায় গুম করে রেখেছে তার বর্ণনা দেয় হত্যাকারীরা। পরে ডিবি কুমিল্লা সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া বড় মসজিদের পাশে সেপটিক ট্যাংক হতে টিপুর মরদেহের হাড়, কঙ্কাল মাথার খুলি উদ্ধার করে ।