ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বউ খুঁজতে বিদেশে যেতে হবে চীনাদের!

নারী-পুরুষের সংখ্যাগত ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় চীনে এখন সব পুরুষের জন্য বউ পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে।
chinees
চীনে আলোচিত ‘এক-সন্তান’ নীতির কারণে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ কারণে সেখানে বিয়ের জন্য কনে পাওয়া এখন রীতিমতো দুরূহ।

পিটিআই জানিয়েছে, চীনে নারী-পুরুষের আনুপাতিক ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার প্রায় সাড়ে তিন কোটি পুরুষকে বিদেশে কনে খুঁজতে হতে পারে।

২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, চীনে পুরুষের সংখ্যা ৬৯৭.২ মিলিয়ন। নারীর সংখ্যা ৬৬৩.৪ মিলিয়ন। অর্থাৎ নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ৩৩.৮ মিলিয়ন বেশি।

চীনে আশির দশকের শেষের দিকে ছেলেমেয়ের অনুপাত ছিল ১০৮:১০০। ২০১৩ সালে এসে এই অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১১৭: ১০০। কিছু এলাকায় এই অনুপাত আরও অনেক বেশি।

চীনের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তিন দশকেরও বেশি সময় আগে এক সন্তাননীতি চালু করা হয়। এই নীতির প্রভাবে সেখানকার সমাজে ছেলে সন্তানের চাহিদা বেড়ে যায়। এখন চীনকে ওই নীতির নেতিবাচক ফল গুনতে হচ্ছে।

পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক, সাম্প্রতিক এক ঘটনায় তা বোঝা যায়।

সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনা পুলিশ একদল নারী পাচারকারী গ্রেপ্তার করেছে। চক্রটি কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ থেকে নারী ও মেয়েদের চীনে নিয়ে এসেছে। এরপর চড়া দামে ওই নারী ও মেয়েদের চীনা পুরুষদের কাছে স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে। পাচার হওয়া নারীদের মধ্যে মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিকও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনা পুরুষদের কাছে বিক্রির জন্যই এসব নারীকে নিয়ে আসা হয়, যাতে তারা ক্রেতাদের বউ হতে পারেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বউ খুঁজতে বিদেশে যেতে হবে চীনাদের!

আপডেট সময় ০২:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৪

নারী-পুরুষের সংখ্যাগত ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় চীনে এখন সব পুরুষের জন্য বউ পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে।
chinees
চীনে আলোচিত ‘এক-সন্তান’ নীতির কারণে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ কারণে সেখানে বিয়ের জন্য কনে পাওয়া এখন রীতিমতো দুরূহ।

পিটিআই জানিয়েছে, চীনে নারী-পুরুষের আনুপাতিক ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার প্রায় সাড়ে তিন কোটি পুরুষকে বিদেশে কনে খুঁজতে হতে পারে।

২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, চীনে পুরুষের সংখ্যা ৬৯৭.২ মিলিয়ন। নারীর সংখ্যা ৬৬৩.৪ মিলিয়ন। অর্থাৎ নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ৩৩.৮ মিলিয়ন বেশি।

চীনে আশির দশকের শেষের দিকে ছেলেমেয়ের অনুপাত ছিল ১০৮:১০০। ২০১৩ সালে এসে এই অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১১৭: ১০০। কিছু এলাকায় এই অনুপাত আরও অনেক বেশি।

চীনের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তিন দশকেরও বেশি সময় আগে এক সন্তাননীতি চালু করা হয়। এই নীতির প্রভাবে সেখানকার সমাজে ছেলে সন্তানের চাহিদা বেড়ে যায়। এখন চীনকে ওই নীতির নেতিবাচক ফল গুনতে হচ্ছে।

পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক, সাম্প্রতিক এক ঘটনায় তা বোঝা যায়।

সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনা পুলিশ একদল নারী পাচারকারী গ্রেপ্তার করেছে। চক্রটি কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ থেকে নারী ও মেয়েদের চীনে নিয়ে এসেছে। এরপর চড়া দামে ওই নারী ও মেয়েদের চীনা পুরুষদের কাছে স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে। পাচার হওয়া নারীদের মধ্যে মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিকও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনা পুরুষদের কাছে বিক্রির জন্যই এসব নারীকে নিয়ে আসা হয়, যাতে তারা ক্রেতাদের বউ হতে পারেন।