ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও স্বস্তিতে নেই কৃষকরা

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় বোরো ধান কাটার হিড়িক বা মহোৎসব পড়ে গেছে। দান কাটাকে কেন্দ্র করে কিষাণ-কিষাণীদের পদচারণায় মূখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার গ্রামীন জনপদ। এবার ধানের বাম্পার ফলন হলেও স্বস্থিতে নেই কৃসকরা। ধান সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি উৎপাদিত ধানের নায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে কৃসকরা রয়েছে অস্বস্থিতে। এবার উপজেলা কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারন করা হয়েছিল ১৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ৫.৮৮ মেট্রিকটন ধানের। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ এবং উৎপাদন দুটিই বেশি হওয়ায় আশানুরুপ ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে এ উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কৃষকরা দুটি স্থানীয় জাতসহ ১৭ প্রকার হাইব্রিড ও প্রায় ২২ প্রকার উপশি জাতের ধানের চাষ করেছে। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫/৬ টন। উৎপাদিত ধানের দুই ভাগ সংগ্রহ করে ফেলেছে কৃসকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাঠের সকল ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে উপজেলা সদর, ইউছুফনগর কৃষ্ণপুর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া, লক্ষিপুর, দারোরা, করিমপুর রামচন্দ্রপুর, শ্রীকাইল, দেওরা এলাকার বিলগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় দুটি জাতের ধানসহ কৃষি অফিস থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেছেন। তাদের মাঠে ভাল ফলনে বেশ খুশি, কিন্তু ধান সংগহের শুরুতে বিক্ষিপ্ত কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বিক্ষিপ্ত শীলা বৃষ্টি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে কৃষকদের। অপর দিকে ধান কাটা শ্রমিকের অভাব দেখা দেওয়ায় উপজেলা ভাইরে থেকে শ্রমিক এনে ধান কাটানো হচ্ছে। এতে করে বাড়তি খরচও দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

উপজেলা সদরের বৈধার বিলের কৃষক মমিনুল হক জানান, ধান কাটার জন্য প্রতিজন শ্রমিককে গড়ে সাড়ে ৬’শ টাকাসহ তিনবেলা খাবার দিতে হয়। ধানের জমি চাষ, পানি সেচ, সার, বীজ কেনাসহ প্রতি ত্রিশ শতক জমিতে গড়ে সাড়ে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হয়। এখন জদি বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পাই, তাহলে বেশ লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, সরকারের তরফ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের  সুযোগ-সুবিধা যা দেয়ার প্রয়োজন ছিলো সব কিছু দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রযোক্তির পরামর্শ ও প্রশিক্ষন সেবা দিয়েছেন। কৃষকদের পরিশ্রম আর সরকারী কৃষি অফিসের  সম্মনয়ে মাঠে এখন সোনালী ধান দোল খাচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও স্বস্তিতে নেই কৃষকরা

আপডেট সময় ০৩:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় বোরো ধান কাটার হিড়িক বা মহোৎসব পড়ে গেছে। দান কাটাকে কেন্দ্র করে কিষাণ-কিষাণীদের পদচারণায় মূখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার গ্রামীন জনপদ। এবার ধানের বাম্পার ফলন হলেও স্বস্থিতে নেই কৃসকরা। ধান সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি উৎপাদিত ধানের নায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে কৃসকরা রয়েছে অস্বস্থিতে। এবার উপজেলা কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারন করা হয়েছিল ১৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ৫.৮৮ মেট্রিকটন ধানের। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ এবং উৎপাদন দুটিই বেশি হওয়ায় আশানুরুপ ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে এ উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কৃষকরা দুটি স্থানীয় জাতসহ ১৭ প্রকার হাইব্রিড ও প্রায় ২২ প্রকার উপশি জাতের ধানের চাষ করেছে। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫/৬ টন। উৎপাদিত ধানের দুই ভাগ সংগ্রহ করে ফেলেছে কৃসকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাঠের সকল ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে উপজেলা সদর, ইউছুফনগর কৃষ্ণপুর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া, লক্ষিপুর, দারোরা, করিমপুর রামচন্দ্রপুর, শ্রীকাইল, দেওরা এলাকার বিলগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় দুটি জাতের ধানসহ কৃষি অফিস থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেছেন। তাদের মাঠে ভাল ফলনে বেশ খুশি, কিন্তু ধান সংগহের শুরুতে বিক্ষিপ্ত কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বিক্ষিপ্ত শীলা বৃষ্টি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে কৃষকদের। অপর দিকে ধান কাটা শ্রমিকের অভাব দেখা দেওয়ায় উপজেলা ভাইরে থেকে শ্রমিক এনে ধান কাটানো হচ্ছে। এতে করে বাড়তি খরচও দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

উপজেলা সদরের বৈধার বিলের কৃষক মমিনুল হক জানান, ধান কাটার জন্য প্রতিজন শ্রমিককে গড়ে সাড়ে ৬’শ টাকাসহ তিনবেলা খাবার দিতে হয়। ধানের জমি চাষ, পানি সেচ, সার, বীজ কেনাসহ প্রতি ত্রিশ শতক জমিতে গড়ে সাড়ে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হয়। এখন জদি বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পাই, তাহলে বেশ লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, সরকারের তরফ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের  সুযোগ-সুবিধা যা দেয়ার প্রয়োজন ছিলো সব কিছু দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রযোক্তির পরামর্শ ও প্রশিক্ষন সেবা দিয়েছেন। কৃষকদের পরিশ্রম আর সরকারী কৃষি অফিসের  সম্মনয়ে মাঠে এখন সোনালী ধান দোল খাচ্ছে।