স্বাস্থ্য :
একটুকরো কাঁচা আদা হাজারো রোগ-ব্যাধির মুক্তিদাতা। আদার মধ্যে এত রকমের ভেষজ গুণ আছে যে, ঠান্ডা-কাশি-গলাব্যথা-সংক্রমণ-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-ওজন ঝরানোর মতো হাজারো সমস্যার এক সমাধান লুকিয়ে আদায়। দিনটা যদি আদা চা দিয়ে শুরু হয় তাহলে শরীর ঝরঝরে তো হয়ই, গলার যাবতীয় সমস্যাও দূর হয়।
ওজন কমায়
খিদে নিয়ন্ত্রণে আদার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রোজ সকালে আদা কুচি নুন মাখিয়ে খেলে অকারণ খিদে পাওয়া কমবে। গরম পানিতে আদা কুচি বা থেঁতো করা আদা ফুটিয়ে খেলেও একই উপকার মিলবে। একই সঙ্গে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়বে না।
ত্বক-চুল ঝলমল
আদার মধ্যে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন। যা শরীরকে নির্বিষ করে। একই সঙ্গে দেখভাল করে চুল-ত্বকেরও। তাই নিয়মিত আদা ফোটানো পানি গরম বা ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে নিদাগ ত্বক আর কোমর ছাপানো চুল অনায়াসেই মিলবে।
অন্ত্র সুখী আদায়
আদাজল খেয়ে কাজে নামলে যেমন কাজে সাফল্য আসে তেমনি নিয়মিত আদা পানি খেলে পালায় হজমের সমস্যা। দ্রুত হজম ছাড়াও গ্যাস-অম্বলে গলা-বুক-পেট জ্বালা করা, বমিভাবসহ এমন সমস্যার সমাধান রয়েছে আদায়। পানীয়টিকে স্বাদ বানাতে মধু, লেবুর রস, পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।
প্রদাহ দূর
আদা মানেই শরীরের সমস্ত প্রদাহ কমে যাওয়া। বিশেষ করে বাতের ব্যাথায় ভোগেন যারা তাদের কাছে আদা মহৌষধি। আদার মধ্যে থাকা প্রদাহ কমানোর উপাদানের জোরেই বাতের ব্যথা ও পেশির ব্যথা থাকে নিয়ন্ত্রণে।
কমে কোলেস্টেরল
খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা।
এই পাঁচ সমাধান ছাড়া আরও অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে ঘরের নিত্যপণ্য আদা। সুস্থ থাকতে আদা পানি ছাড়াও আদা চা, আদার জ্যাম, আদার স্মুদি বা স্যুপও খেতে পারেন।