ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

জাতীয় ডেস্কঃ

করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।

রোববার (১৭ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এবং বর্তমান সরকারের টানা ১৪তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট। আসন্ন বাজেটে প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি
আগামী বাজেটে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রাক্কলন করা হযেছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায়
আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে আগামী বাজেটে মোট আয় বাড়ছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জিডিপির প্রায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হবে নতুন অর্থবছরের বাজেটে।

এছাড়া আগামী বাজেটে মোট আয়ের মধ্যে এনবিআর বর্হিভূত খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত রাজস্ব ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটের ঘাটতি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ২৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

আসছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

আপডেট সময় ০৩:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

জাতীয় ডেস্কঃ

করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।

রোববার (১৭ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এবং বর্তমান সরকারের টানা ১৪তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট। আসন্ন বাজেটে প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি
আগামী বাজেটে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রাক্কলন করা হযেছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায়
আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে আগামী বাজেটে মোট আয় বাড়ছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জিডিপির প্রায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হবে নতুন অর্থবছরের বাজেটে।

এছাড়া আগামী বাজেটে মোট আয়ের মধ্যে এনবিআর বর্হিভূত খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত রাজস্ব ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটের ঘাটতি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ২৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।