ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের রাস্তার পাশের জায়গাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষেই হোটেল-রেস্তোরা ও বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ফলে এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

এছাড়া ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে। এ রাস্তায় প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। এতে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না হওয়ার ফলে এলাকাবাসীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই থাকতে হচ্ছে। এখান থেকে দ্রুত ময়লার স্তুপ সরানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবী জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পশ্চিম পাশে ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর পাশ ঘেঁষেই ময়লার ভাগাড়। তার পাশেই অবস্থিত ওষধ ও খাবারের দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চার পাশেই ঘনবসতি। সেই রাস্তায় স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।

ময়লার ভাগাড়ের পাশের কয়েকজন দোকানদার বলেন, আমাদের দোকানের পাশেই ময়লার ভাগাড়। এটার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমরা অতি দ্রুতই এর একটা প্রতিকার চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা জামান বলেন, আমারা সবসময় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে এই জায়গাটুকু পার হই। এই ময়লাগুলো যদি এখান থেকে সরানো হতো তাহলে আমাদের চলাচলে আর কষ্ট হতো না।

সিএনজি চালক জালাল মিয়া বলেন, এখানে সিএনজি স্ট্যান্ড হওয়ায় বাধ্য হয়ে ময়লার পাশেই আমাদের গাড়ি রাখতে হয়। দূর্গন্ধের কারনে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীরাও এখানে বেশিক্ষন দাঁড়াতে চায়না ফলে কম যাত্রী নিয়েই আমাদের গাড়ি ছাড়তে হয়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা ফেললে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি মানুষেরও শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়। ময়লা-আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ নাক দিয়ে মানুষের পাকস্থলীতে গিয়ে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে। এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খোলা জায়গা থেকে মশা-মাছিও জন্মায়। তাই খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ময়লা ফেলার নির্ধারিত কোন স্থান না থাকায় সড়কের পাশেই ময়লা-আবর্জনা ফেলছে লোকজন। এগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য আমরা নিচু খাস জায়গা খুজছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

মুরাদনগরে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০১:৩৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের রাস্তার পাশের জায়গাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষেই হোটেল-রেস্তোরা ও বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ফলে এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

এছাড়া ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে। এ রাস্তায় প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। এতে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না হওয়ার ফলে এলাকাবাসীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই থাকতে হচ্ছে। এখান থেকে দ্রুত ময়লার স্তুপ সরানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবী জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পশ্চিম পাশে ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর পাশ ঘেঁষেই ময়লার ভাগাড়। তার পাশেই অবস্থিত ওষধ ও খাবারের দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চার পাশেই ঘনবসতি। সেই রাস্তায় স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।

ময়লার ভাগাড়ের পাশের কয়েকজন দোকানদার বলেন, আমাদের দোকানের পাশেই ময়লার ভাগাড়। এটার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমরা অতি দ্রুতই এর একটা প্রতিকার চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা জামান বলেন, আমারা সবসময় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে এই জায়গাটুকু পার হই। এই ময়লাগুলো যদি এখান থেকে সরানো হতো তাহলে আমাদের চলাচলে আর কষ্ট হতো না।

সিএনজি চালক জালাল মিয়া বলেন, এখানে সিএনজি স্ট্যান্ড হওয়ায় বাধ্য হয়ে ময়লার পাশেই আমাদের গাড়ি রাখতে হয়। দূর্গন্ধের কারনে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীরাও এখানে বেশিক্ষন দাঁড়াতে চায়না ফলে কম যাত্রী নিয়েই আমাদের গাড়ি ছাড়তে হয়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা ফেললে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি মানুষেরও শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়। ময়লা-আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ নাক দিয়ে মানুষের পাকস্থলীতে গিয়ে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে। এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খোলা জায়গা থেকে মশা-মাছিও জন্মায়। তাই খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ময়লা ফেলার নির্ধারিত কোন স্থান না থাকায় সড়কের পাশেই ময়লা-আবর্জনা ফেলছে লোকজন। এগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য আমরা নিচু খাস জায়গা খুজছি।