ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা চলাকালে ইজতেমা মাঠ ও আশেপাশের এলাকা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পৃথক অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে কমপক্ষে ২৫৫ জন অপরাধীকে আটক করেছে।
টঙ্গী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুদকার সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গত ১০ দিনে ২ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে হকার, মোবাইল চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য রয়েছে।
এছাড়া,গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় আরো ১৪ থেকে ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃতদেরকে গাজীপুর ও ঢাকার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রায় শতাধিক মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহিলা পকেটমার, নারী চোর দলের সদস্য, হকার, ফুটপাত ব্যবসায়ী, শিশু কিশোর ও যুবক রয়েছে। তাদেরকে টঙ্গী মডেল থানাসহ সংশ্লিষ্ট থানা ও কমলাপুর রেলওয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়া জিআরপি পুলিশের সদস্যরা টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা থেকে তিন শিশুকে উদ্বার করেছে। পরে হারিয়ে যাওয়া এসব শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, রবিবার দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিন রাতে জিআরপি পুলিশের সদস্যরা গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে ১০জন মোবাইল ফোন চোর দলের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করেছে । এদের কাছ থেকে তল্লাশী চালিয়ে ৯টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
কমলাপুর ঢাকা রেলওয়ে (জিআরপি) ঢাকা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো: ওমর ফারুক বাসসকে জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে টঙ্গী রেলস্টেশন থেকে প্রায় ২০জন নারী মহিলা চোর,পকেটমার ও ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে বেশ কিছু চুরির মোবাইল সেট উদ্বার করা হয়।