ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে অবশেষে ৩ মাসের বহিষ্কার দলিল লিখক মোরশেদ

মাহবুব আলম আরিফঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক মোরশেদ ভূয়া দলিল বানিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করার কথা শিকার করায় তিন মাসের জন্য সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের সকল কর্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেন মুরাদনগর দলিল লিখক সমিতি।

সোমবার সকাল ১১ টায় মুরাদনগর সাবরেজিষ্ট্রি অফেসে এক শালিসের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন দলিল লিখক সমিতির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও উপদেষ্টা মন্ডলী। বহিষ্কার হওয়া দলিল লিখক উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

প্রেক্ষাপট, গত আগষ্ট মাসের ১০ তারিখ উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের দুই ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও কাইয়ুম একই গ্রামের আলীমুদ্দীনের ছেলে আবদুল্লা আল নোমানের কাছ থেকে সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি নেয়ার জন্য মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসনে। যেহেতু দলিল গ্রহিতা ও দাতার মধ্যে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই তাই তারা সাফ কবলা দলিল করে দেয়ার জন্য ঐ দলিল লিখককে ২৩ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ঐ দলিল লিখকের নানান তাল বাহানার কারনে সেই দিন আর দলিল রেজিষ্ট্রি মিলেনি দলিল গ্রহিতার মিলেছে রেজিষ্ট্রি না হওয়া দলিলের ফটোকপি। মোরশেদ তাদের কে বলেন অন্য একদিন আসেন দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেব। দির্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলে মোরশেদ চাপ সইতে না পেরে তাদের কে গত বৃহস্পতিবার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসতে বলেন। তারা আসার পর দলিল রেজিষ্ট্রি করতে জাবে এমন সময় দলিল দাতা নোমানের সন্ধেহ জাগে তাই ঐ দলিল লিখকের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি চাইলে সে দিতে অস্বিকার করেন। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক মোরশেদের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি নিয়ে দেখা যায়। সে সাফ কবলা দলিলের পরিবর্তে দাতা ও গ্রহিতাকে রক্তের সম্পর্ক দেখিয়ে ভাই বানিয়ে হেবার ঘোষনা দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য অফিসের দিকে যাচ্ছে। তখন দলিল দাতা নোমান বাধা দিলে মোরশেদ নোমানের সাথে খারাপ আচরন করে এক পর্যায় অফিস থেকে পালিয়ে যায়। পরে নোমান মোরশেদ কে খুজে না পেয়ে দলিল লিখক সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছে তার বিরুদ্ধে বিচার চান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

মুরাদনগরে অবশেষে ৩ মাসের বহিষ্কার দলিল লিখক মোরশেদ

আপডেট সময় ০২:২৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৭
মাহবুব আলম আরিফঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক মোরশেদ ভূয়া দলিল বানিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করার কথা শিকার করায় তিন মাসের জন্য সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের সকল কর্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেন মুরাদনগর দলিল লিখক সমিতি।

সোমবার সকাল ১১ টায় মুরাদনগর সাবরেজিষ্ট্রি অফেসে এক শালিসের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন দলিল লিখক সমিতির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও উপদেষ্টা মন্ডলী। বহিষ্কার হওয়া দলিল লিখক উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

প্রেক্ষাপট, গত আগষ্ট মাসের ১০ তারিখ উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের দুই ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও কাইয়ুম একই গ্রামের আলীমুদ্দীনের ছেলে আবদুল্লা আল নোমানের কাছ থেকে সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি নেয়ার জন্য মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসনে। যেহেতু দলিল গ্রহিতা ও দাতার মধ্যে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই তাই তারা সাফ কবলা দলিল করে দেয়ার জন্য ঐ দলিল লিখককে ২৩ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ঐ দলিল লিখকের নানান তাল বাহানার কারনে সেই দিন আর দলিল রেজিষ্ট্রি মিলেনি দলিল গ্রহিতার মিলেছে রেজিষ্ট্রি না হওয়া দলিলের ফটোকপি। মোরশেদ তাদের কে বলেন অন্য একদিন আসেন দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেব। দির্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলে মোরশেদ চাপ সইতে না পেরে তাদের কে গত বৃহস্পতিবার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসতে বলেন। তারা আসার পর দলিল রেজিষ্ট্রি করতে জাবে এমন সময় দলিল দাতা নোমানের সন্ধেহ জাগে তাই ঐ দলিল লিখকের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি চাইলে সে দিতে অস্বিকার করেন। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক মোরশেদের কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি নিয়ে দেখা যায়। সে সাফ কবলা দলিলের পরিবর্তে দাতা ও গ্রহিতাকে রক্তের সম্পর্ক দেখিয়ে ভাই বানিয়ে হেবার ঘোষনা দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য অফিসের দিকে যাচ্ছে। তখন দলিল দাতা নোমান বাধা দিলে মোরশেদ নোমানের সাথে খারাপ আচরন করে এক পর্যায় অফিস থেকে পালিয়ে যায়। পরে নোমান মোরশেদ কে খুজে না পেয়ে দলিল লিখক সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছে তার বিরুদ্ধে বিচার চান।