মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক : 
বিশেষ প্রতিনিধি, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা মহনগরীর নতুন চৌধুরীপাড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে মাসুদুর রহমান মজুমদার নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর দুই ঘাতককে আটক করেছে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন টিম।
গতকাল শুক্রবার অভিযান চালিয়ে মাইনুল হাসান মান্না ও মো. জসিম উদ্দিন নামের দুই ঘাতককে আটক করে পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে দেশীয় অস্ত্র, খেলনা পিস্তল ও মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।
আটক মাইনুল হাসান মান্না মহানগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার মৃত জিয়া উদ্দিনের ছেলে এবং জসিম উদ্দিন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার মাঝিগাছা এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে।
মুক্তিপণ আদায় ও মোটরসাইকেল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাসুদুর রহমান মজুমদারকে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হলেও মাসুদ মুক্তিপণ আদায়কারীদের চিনে ফেলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করে ঘাতকরা পালিয়ে যায় বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক মান্না ও জসিম।
কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন আজ শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১৯ নভেম্বর রাতে নতুন চৌধুরীপাড়ার কবরস্থানের নিকট অবস্থিত সুমন ভিলা থেকে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামের সামছুল হক মজুমদারের ছেলে মাসুদুর রহমান মজুমদারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান মজুমদার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করলে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার কাপ্তান বাজার এলাকা থেকে ঘাতক মাইনুল হাসান মান্না ও নগরীর মাঝিগাছা থেকে জসিমকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিম মাসুদুর রহমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মালামাল, খুনের সময় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, খেলনা পিস্তল ব্রাক্ষণপাড়া থানার অলুয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পিবিআই পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ জানান, ভিকটিমের ভাই থানায় মামলা করলে দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের একটি দক্ষ টিম ঘাতকদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা সংঘবদ্ধ চক্রের লোক। তাদের বিরুদ্ধে থানায় আরো অভিযোগ রয়েছে। ঘাতকদের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার সময় ব্যবহৃত মালামাল ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
