ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে স্বামীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্ত্রী আটক

মো: নাজিম উদ্দিনঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামী সুমন(৩২) কে হত্যা করে  আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী তিশা আক্তার(২৬) কে আটক করে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোর ৫টায় নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর এলাকার  খলিলুর রহমানের বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

মৃত সুমন উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত মরম আলী ড্রাইভারের ছেলে।

আটক স্ত্রী তিশা আক্তার  উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর গ্রামের মাহফুজ মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন তিশা পরিবহনের বাস চালক। এক মাস পূর্বে সুমন মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ পৈয়াপাথর এলাকার ব্যাবসায়ী খলিলুর রহমানের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নেয়। সুমনের অনুপস্থিতিতে ওই বাসায় বহিরাগত ছেলেদের আনাগোনা প্রায়ই দেখা যেত। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। হত্যার খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা এস আই শওকতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং স্ত্রী তিশাকে আটক করে।

নিহতের বোন পারভীন আক্তার বলেন, স্ত্রী তিশার পরকিয়ার জেরেই আমার ভাই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। সুমনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তিশা ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ খুনির ফাঁিস চাই।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মনজুর আলম বলেন, স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথামিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। সুমনের ভাই ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে স্বামীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্ত্রী আটক

আপডেট সময় ১২:২২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
মো: নাজিম উদ্দিনঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামী সুমন(৩২) কে হত্যা করে  আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী তিশা আক্তার(২৬) কে আটক করে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোর ৫টায় নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর এলাকার  খলিলুর রহমানের বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

মৃত সুমন উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত মরম আলী ড্রাইভারের ছেলে।

আটক স্ত্রী তিশা আক্তার  উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর গ্রামের মাহফুজ মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন তিশা পরিবহনের বাস চালক। এক মাস পূর্বে সুমন মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ পৈয়াপাথর এলাকার ব্যাবসায়ী খলিলুর রহমানের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নেয়। সুমনের অনুপস্থিতিতে ওই বাসায় বহিরাগত ছেলেদের আনাগোনা প্রায়ই দেখা যেত। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। হত্যার খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা এস আই শওকতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং স্ত্রী তিশাকে আটক করে।

নিহতের বোন পারভীন আক্তার বলেন, স্ত্রী তিশার পরকিয়ার জেরেই আমার ভাই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। সুমনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তিশা ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ খুনির ফাঁিস চাই।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মনজুর আলম বলেন, স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথামিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। সুমনের ভাই ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।