ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ আহত ৮, পাল্টা-পাল্টি মামলা

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই যুবকের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জনকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে অপর ৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে গেছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের ধনীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মুরাদনগর থানায় পাল্টা-পাল্টি দুটি মামলা করেছে। সবিরের বাবা আ: রহিম এর মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অপর পক্ষের দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

আহতরা হলেন, ধনীরামপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরকারের ছেলে সবির আহম্মেদ(৩৬), সাধন সরকারের ছেলে জামাল মিয়া(৩২)  আবুল কাশেমের ছেলে বশির আহম্মদ(২৭) ও মোমেনের ছেলে সামি (১৬) এবং অপর পক্ষ ধনীরামপুর গ্রামের একই পরিবারের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী জোহরা খাতুন (৫৫), ছেলে রমজান (২৮), ওসমান (২৫) ও মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা খুসু আক্তার(৩৫)।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ধনীরামপুর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে রমজান তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মোমেন মিয়ার ছেলে সামিকে মারধর করে। ঘটনার এক ঘন্টার মধ্যে রমজানের বাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে রমজানের মা মৃত মালুমিয়ার মিয়ার স্ত্রী জোহরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে রমজান ও মোমেনের ছেলে সামির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা কিছুক্ষণ পরই রমজানকে সবির ফোন করে বলে তুই কোথায় তারাতারি আমাদের সাথে দেখা কর তুই সামিকে কেন মারছত? আর যদি এখন দেখা না করছ তাইলে আমরা কিন্তু তর বাড়ী থেকে ধইরা আনমু। এই কথা বলার ঘন্টা খানেক পরেই দেখি সবির, জামাল, বশির ও সামিসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন বাড়িতে এসে হামলা করে আমাকে ও আমার গর্ভবতি মেয়ে খুসু, দুই ছেলে রমজান ও ওসমানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে আমি মুরাদনগর থানায় মামলা করেছি।
অপরদিকে সবির আহম্মদ বলেন, রমজান আর সামির মারামারির ঘটনাকে মিমাংসা করতে রমজানের মা জোহরা খাতুন সামির চাচা জামাল মিয়াকে মোবাইল ফোনে বলেন আমার ছেলে যে কাজটি করেছে তা খুব অন্যায় করেছে। তুমি সামিকে নিয়ে আমার বাড়ীতে আসো আমি আমার ছেলে রমজানের সাথে মিমাংসা করে দিবো। জোহরা খাতুনের কথা বিশ্বাস করে সামির চাচা জামাল মিয়া ও আমিসহ ৪ জন রমাজানের বাড়ীতে যাই। আমরা রমাজানের ঘরে ঢুকার সাথে সাথেই দরজা বন্ধ করে রমজান ও তার ছোট ভাই উসমান বোন খুসু আক্তার এবং তার মা জোহরা বেগম রামদা ও তাসকাল দিয়ে জামালকে আমাকে ও বশিরকে এলোপাথারী কোপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমার বাবাকে বাচাতে গিয়ে আমি অতিরিক্ত জখমের শিকার হই। খবর পেয়ে স্থানীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমাদেরকে উদ্ধার করে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আমার বাবা আব্দুর রহিম মুরাদনগর থানায় মামলা করলে পুলিশ মৃত মালু মিয়ার ছেলে রমজান ও উসমানকে গ্রেফতার করে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা করেছে। দু’জনকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা কোর্টে চালান করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ আহত ৮, পাল্টা-পাল্টি মামলা

আপডেট সময় ০৪:৫২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই যুবকের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জনকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে অপর ৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে গেছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের ধনীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মুরাদনগর থানায় পাল্টা-পাল্টি দুটি মামলা করেছে। সবিরের বাবা আ: রহিম এর মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অপর পক্ষের দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

আহতরা হলেন, ধনীরামপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরকারের ছেলে সবির আহম্মেদ(৩৬), সাধন সরকারের ছেলে জামাল মিয়া(৩২)  আবুল কাশেমের ছেলে বশির আহম্মদ(২৭) ও মোমেনের ছেলে সামি (১৬) এবং অপর পক্ষ ধনীরামপুর গ্রামের একই পরিবারের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী জোহরা খাতুন (৫৫), ছেলে রমজান (২৮), ওসমান (২৫) ও মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা খুসু আক্তার(৩৫)।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ধনীরামপুর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে রমজান তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মোমেন মিয়ার ছেলে সামিকে মারধর করে। ঘটনার এক ঘন্টার মধ্যে রমজানের বাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে রমজানের মা মৃত মালুমিয়ার মিয়ার স্ত্রী জোহরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে রমজান ও মোমেনের ছেলে সামির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা কিছুক্ষণ পরই রমজানকে সবির ফোন করে বলে তুই কোথায় তারাতারি আমাদের সাথে দেখা কর তুই সামিকে কেন মারছত? আর যদি এখন দেখা না করছ তাইলে আমরা কিন্তু তর বাড়ী থেকে ধইরা আনমু। এই কথা বলার ঘন্টা খানেক পরেই দেখি সবির, জামাল, বশির ও সামিসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন বাড়িতে এসে হামলা করে আমাকে ও আমার গর্ভবতি মেয়ে খুসু, দুই ছেলে রমজান ও ওসমানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে আমি মুরাদনগর থানায় মামলা করেছি।
অপরদিকে সবির আহম্মদ বলেন, রমজান আর সামির মারামারির ঘটনাকে মিমাংসা করতে রমজানের মা জোহরা খাতুন সামির চাচা জামাল মিয়াকে মোবাইল ফোনে বলেন আমার ছেলে যে কাজটি করেছে তা খুব অন্যায় করেছে। তুমি সামিকে নিয়ে আমার বাড়ীতে আসো আমি আমার ছেলে রমজানের সাথে মিমাংসা করে দিবো। জোহরা খাতুনের কথা বিশ্বাস করে সামির চাচা জামাল মিয়া ও আমিসহ ৪ জন রমাজানের বাড়ীতে যাই। আমরা রমাজানের ঘরে ঢুকার সাথে সাথেই দরজা বন্ধ করে রমজান ও তার ছোট ভাই উসমান বোন খুসু আক্তার এবং তার মা জোহরা বেগম রামদা ও তাসকাল দিয়ে জামালকে আমাকে ও বশিরকে এলোপাথারী কোপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমার বাবাকে বাচাতে গিয়ে আমি অতিরিক্ত জখমের শিকার হই। খবর পেয়ে স্থানীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমাদেরকে উদ্ধার করে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আমার বাবা আব্দুর রহিম মুরাদনগর থানায় মামলা করলে পুলিশ মৃত মালু মিয়ার ছেলে রমজান ও উসমানকে গ্রেফতার করে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা করেছে। দু’জনকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা কোর্টে চালান করা হয়েছে।