ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিজ ট্রাস

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। ফলে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল মঙ্গলবার বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাস।

লিজ ট্রাস হবেন যুক্তরাজ্যের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। থেরেসা মে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে তীব্র বিভেদ ও টানাপোড়েনের মধ্যে তাকে বিদায় নিতে হয়।

গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন, তার পরই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

কনসারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে শেষ পর্যন্ত এতে জয়ী হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তিনি ৮০ হাজার ৩২৬ ভোট পান, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক পান ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট।

কনজারভেটিভ পার্টির ভোটের ফল ঘোষণার পর লিজ ট্রাস তার প্রথম ভাষণে বলেন, ব্রিটিশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং কর কমানোর জন্য তার একটি ‘বলিষ্ঠ পরিকল্পনা’ রয়েছে।

ছাত্রজীবনের শুরুতে লিজ ট্রাস মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে যুক্ত থাকলেও পরে তিনি ডানপন্থী কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি প্রথম দল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কনজারভেটিভ পার্টির পেছন সারি থেকে যেভাবে সরকারের শীর্ষ পদে তার দ্রুত উত্থান ঘটেছে, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ
লিজ ট্রাস এমন এক সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন, যখন দেশটিতে মূদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিরাট সংকটের মুখে পড়েছে।

বিশেষ করে আসন্ন শীত মৌসুমে ইউরোপে জ্বালানি গ্যাসের ঘাটতির কারণে যে সংকট তৈরি হবে, সেটিই নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দায়িত্ব নেয়ার পরই লিজ ট্রাস জ্বালানির ব্যয় মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখতে একটি বড় সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিজ ট্রাস

আপডেট সময় ০১:১৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। ফলে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল মঙ্গলবার বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাস।

লিজ ট্রাস হবেন যুক্তরাজ্যের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। থেরেসা মে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে তীব্র বিভেদ ও টানাপোড়েনের মধ্যে তাকে বিদায় নিতে হয়।

গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন, তার পরই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

কনসারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে শেষ পর্যন্ত এতে জয়ী হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তিনি ৮০ হাজার ৩২৬ ভোট পান, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক পান ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট।

কনজারভেটিভ পার্টির ভোটের ফল ঘোষণার পর লিজ ট্রাস তার প্রথম ভাষণে বলেন, ব্রিটিশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং কর কমানোর জন্য তার একটি ‘বলিষ্ঠ পরিকল্পনা’ রয়েছে।

ছাত্রজীবনের শুরুতে লিজ ট্রাস মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে যুক্ত থাকলেও পরে তিনি ডানপন্থী কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি প্রথম দল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কনজারভেটিভ পার্টির পেছন সারি থেকে যেভাবে সরকারের শীর্ষ পদে তার দ্রুত উত্থান ঘটেছে, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ
লিজ ট্রাস এমন এক সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন, যখন দেশটিতে মূদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিরাট সংকটের মুখে পড়েছে।

বিশেষ করে আসন্ন শীত মৌসুমে ইউরোপে জ্বালানি গ্যাসের ঘাটতির কারণে যে সংকট তৈরি হবে, সেটিই নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দায়িত্ব নেয়ার পরই লিজ ট্রাস জ্বালানির ব্যয় মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখতে একটি বড় সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি