ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে খাল দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ

মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে ব্যবসার জন্য পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস বিষয়টি অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারনে কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাছে পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে।

উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন অন্দিকোট ইউনিয়নের বলিবাড়ী গ্রামের হায়দ্রাবাদ-বলিবাড়ী সড়কের পাকা ব্রীজ সংলগ্ন খালটি দখল করে দোকানঘর নির্মান করছেন স্থানীয় মজিব মাষ্টার নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাঁর দাবি এটি সরকারি জায়গা নয়, তাাঁর নিজস্ব জমি।

তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ঠরা।

খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানয়ি কয়েকজন জানান, কয়েক বছর আগেও এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলত। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বলিবাড়ী গ্রামে ব্রীজের পাশে বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে থালটি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। রাতারাতি দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়াও তুলছেন তাঁরা। এই কাজে তাঁদের বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছেনা। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসারদের অর্থের বিনিমনে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।

অভিযোক্ত দখলদার মজিব মাষ্টার বলেন, ১৯৯১ সালে ততকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুরাদনগর আগমনের সময় আমার জমির উপর দিয়ে খাল খনন করেন এবং পরবর্তীতে আমার জমির উপর দিয়েই সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে যে খালটিতে দোকানঘর নির্মাণ করছি, সেটি আমোদের মালিকানাধীন। আর আমাদের জমিতে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারি।
আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। উর্ধ্বতন কর্মকতাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছ। এখন কাজ হচ্ছেকিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ বিষয়য়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা বলেন, বর্তমানে স্থাপনা নির্মাান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দখল কারিরা বলছে তাদের ব্যক্তিগত জমি, তাই সরকারি সার্ভেয়ার ও দখল কারিদের পক্ষ থেকে আরো এক একজন সার্ভেয়ার নিয়ে অচিরেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে খাল দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ

আপডেট সময় ০৮:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে ব্যবসার জন্য পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস বিষয়টি অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারনে কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাছে পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে।

উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন অন্দিকোট ইউনিয়নের বলিবাড়ী গ্রামের হায়দ্রাবাদ-বলিবাড়ী সড়কের পাকা ব্রীজ সংলগ্ন খালটি দখল করে দোকানঘর নির্মান করছেন স্থানীয় মজিব মাষ্টার নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাঁর দাবি এটি সরকারি জায়গা নয়, তাাঁর নিজস্ব জমি।

তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ঠরা।

খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানয়ি কয়েকজন জানান, কয়েক বছর আগেও এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলত। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বলিবাড়ী গ্রামে ব্রীজের পাশে বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে থালটি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। রাতারাতি দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়াও তুলছেন তাঁরা। এই কাজে তাঁদের বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছেনা। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসারদের অর্থের বিনিমনে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।

অভিযোক্ত দখলদার মজিব মাষ্টার বলেন, ১৯৯১ সালে ততকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুরাদনগর আগমনের সময় আমার জমির উপর দিয়ে খাল খনন করেন এবং পরবর্তীতে আমার জমির উপর দিয়েই সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে যে খালটিতে দোকানঘর নির্মাণ করছি, সেটি আমোদের মালিকানাধীন। আর আমাদের জমিতে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারি।
আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। উর্ধ্বতন কর্মকতাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছ। এখন কাজ হচ্ছেকিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ বিষয়য়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা বলেন, বর্তমানে স্থাপনা নির্মাান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দখল কারিরা বলছে তাদের ব্যক্তিগত জমি, তাই সরকারি সার্ভেয়ার ও দখল কারিদের পক্ষ থেকে আরো এক একজন সার্ভেয়ার নিয়ে অচিরেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।