জাতীয় ডেস্কঃ
বৃষ্টিপাত বেড়ে দেশের আটটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন সতর্কতা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারতের গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার স্থানসমূহে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক অপেক্ষা অধিক বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ফলে মূলত দেশের গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানির সমতল বাড়ার উল্লেখযোগ্য প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুদিন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানের অববাহিকার অনেক স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যা পরে হ্রাস পেতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ থেকে ১৪ আগস্ট অথবা সন্নিহিত সময়ে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ ও সংলগ্ন উজানে ভারতের সিকিম, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম প্রদেশে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বর্ণিত অঞ্চলে স্থানভেদে তিন দিনে সর্বমোট ২০০-২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
১৪ আগস্টের মধ্যে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল বাড়তে পারে। এই সময়ে উক্ত নদীসমূহের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানির সমতল ধীর গতিতে বেড়েছে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল আগামী তিন দিন (১৫ আগস্ট ৯টা পর্যন্ত) স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং ১৫ আগস্টের পর থেকে পরবর্তী ১২ দিন (২৭ আগস্ট পর্যন্ত) হ্রাস পেতে পারে।
যমুনা ও গঙ্গার মিলিত প্রভাবে আগামী চার দিন (১৬ আগস্ট ১টা পর্যন্ত) পদ্মা নদীর পানির সমতল বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এই সময় রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। পরে ১৯ আগস্টের পর থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ওই নদীসমূহের পানির সমতল ধীরগতিতে হ্রাস পেতে পারে।