ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলোচনায় রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও, তবে শর্ত একটাই

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

যুদ্ধ থামাতে চেয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদর আশঙ্কা, তীরে এসে তরী ডুবতে পারে। কেন না আলোচনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলোচনাস্থল বেলারুশ।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেই এসেছে আলোচনার প্রস্তাব। যদিও এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে ইউক্রেনের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একবার।

রোববার রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সাথে তারা আলোচনায় বসতে রাজি। কোথায় আলোচনা বসবে, তা-ও জানিয়ে ক্রেমলিন বলে যে ইউরোপের দেশ বেলারুশে হতে পারে আলোচনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই প্রস্তাবের জবাব আসে ইউক্রেনের তরফেও। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি জানান, তিনিও আলোচনায় বসতে রাজি কিন্তু তার একটি শর্ত আছে।

জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, আর যেখানেই হোক তিনি রাশিয়ার সাথে বেলারুশে আলোচনায় বসতে চান না।

কিন্তু কেন বেলারুশে আলোচনায় আপত্তি জেলেনস্কির? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য তা নিয়ে কোনো জল্পনার অবকাশ রাখেননি। তিনি বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনাস্থল হিসেবে বেলারুশ পছন্দ নয়। কারণ, বেলারুশকে ব্যবহার করেই ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার বেলারুশ-প্রস্তাবের জবাবে পাল্টা জেলেনস্কি আরো পাঁচটি আলোচনার জায়গার নাম বলেছেন। একটি অনলাইন বার্তায় তিনি বলেন, ‘ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকু- আমরা এই সবক’টি জায়গার প্রস্তাব দিলাম। এর যেকোনো একটিতে আলোচনায় বসা যেতে পারে।’

যদিও ইউক্রেনের প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি মস্কো। বরং, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যখন যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনায় বসার কথা হচ্ছে, তখনো রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে একই রকম সক্রিয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনায় রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও, তবে শর্ত একটাই

আপডেট সময় ০১:১৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

যুদ্ধ থামাতে চেয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদর আশঙ্কা, তীরে এসে তরী ডুবতে পারে। কেন না আলোচনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলোচনাস্থল বেলারুশ।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেই এসেছে আলোচনার প্রস্তাব। যদিও এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে ইউক্রেনের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একবার।

রোববার রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সাথে তারা আলোচনায় বসতে রাজি। কোথায় আলোচনা বসবে, তা-ও জানিয়ে ক্রেমলিন বলে যে ইউরোপের দেশ বেলারুশে হতে পারে আলোচনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই প্রস্তাবের জবাব আসে ইউক্রেনের তরফেও। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি জানান, তিনিও আলোচনায় বসতে রাজি কিন্তু তার একটি শর্ত আছে।

জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, আর যেখানেই হোক তিনি রাশিয়ার সাথে বেলারুশে আলোচনায় বসতে চান না।

কিন্তু কেন বেলারুশে আলোচনায় আপত্তি জেলেনস্কির? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য তা নিয়ে কোনো জল্পনার অবকাশ রাখেননি। তিনি বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনাস্থল হিসেবে বেলারুশ পছন্দ নয়। কারণ, বেলারুশকে ব্যবহার করেই ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার বেলারুশ-প্রস্তাবের জবাবে পাল্টা জেলেনস্কি আরো পাঁচটি আলোচনার জায়গার নাম বলেছেন। একটি অনলাইন বার্তায় তিনি বলেন, ‘ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকু- আমরা এই সবক’টি জায়গার প্রস্তাব দিলাম। এর যেকোনো একটিতে আলোচনায় বসা যেতে পারে।’

যদিও ইউক্রেনের প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি মস্কো। বরং, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যখন যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনায় বসার কথা হচ্ছে, তখনো রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে একই রকম সক্রিয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা