ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ১১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।

ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর  উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের সংখ্যা ১৩৯টি। এর মধ্যে একশত সতেরোটি’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানে না এই স্মৃতি স্তম্ভটির তৈরির পেছনের ইতিহাস।

শিশুদের মনে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার লক্ষে এ ধরনের জাতীয় প্রতীকগুলো এখানে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাই। প্রশ্ন করা হলে উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, আমরা শহীদ মিনারের নির্মানের জন্য কোন বরাদ্দ পাইনি এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে জিগ্যেস করা হয় একুশে ফেব্রুয়ারীতে তোমরা কোথায় শ্রদ্ধা নিবেদন করো? উত্তরে তারা বলে আমরা কলাগাছ বা কৃত্রিমভাবে বাঁশ  দিয়ে শহীদমিনার তৈরি করি সেখানে ফুল দেই।আর এভাবেই দিয়ে প্রায় প্রতিটা বিদ্যালয়েই পালিত হচ্ছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা ভাষার জন্য বুকের তাঁজা রক্ত দিয়েছেন তাদের প্রতি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শ্রদ্ধা নিবেদন। শিক্ষার্থীদের ভাষার প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি উত্তরোত্তর শ্রদ্ধাশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণকারী শহীদ মিনার নামক এ স্মৃতিস্তম্ভটি সকল প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার সুধীজনের।

এ বিষয়ে উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার  সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বাধীনতা, ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্মৃতিফলক শহীদ মিনার সম্পর্কে এখানকার শিক্ষার্থীদের ধারণা নামমাত্র। উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপনের পাশাপাশি এটি সম্পর্কে শিশুদের ভাষাগত জ্ঞান ও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নৌসাদ মাহমুদ মুঠোফোনে  জানান, এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নেই।শহীদমিনার এর জন্য সরকারি ভাবে কোনো বরাদ্দও পাইনি।এ উপজেলায় ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে এর মধ্যে ২২টি বিদ্যালয় শহীদ মিনার আছে, তবে সেই স্মৃতিস্তম্ভ গুলো স্থানীয় উদ্যোগে অভিভাবকরা ,এস এম সি, ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ মিলে শহীদমিনার গুলো তৈরি করেছেন। বাকি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তবে এ ব্যাপারে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। তবে,এটি করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বাঞ্ছারামপুরে ১১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।

আপডেট সময় ০২:২৮:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর  উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের সংখ্যা ১৩৯টি। এর মধ্যে একশত সতেরোটি’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানে না এই স্মৃতি স্তম্ভটির তৈরির পেছনের ইতিহাস।

শিশুদের মনে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার লক্ষে এ ধরনের জাতীয় প্রতীকগুলো এখানে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাই। প্রশ্ন করা হলে উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, আমরা শহীদ মিনারের নির্মানের জন্য কোন বরাদ্দ পাইনি এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে জিগ্যেস করা হয় একুশে ফেব্রুয়ারীতে তোমরা কোথায় শ্রদ্ধা নিবেদন করো? উত্তরে তারা বলে আমরা কলাগাছ বা কৃত্রিমভাবে বাঁশ  দিয়ে শহীদমিনার তৈরি করি সেখানে ফুল দেই।আর এভাবেই দিয়ে প্রায় প্রতিটা বিদ্যালয়েই পালিত হচ্ছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা ভাষার জন্য বুকের তাঁজা রক্ত দিয়েছেন তাদের প্রতি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শ্রদ্ধা নিবেদন। শিক্ষার্থীদের ভাষার প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি উত্তরোত্তর শ্রদ্ধাশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণকারী শহীদ মিনার নামক এ স্মৃতিস্তম্ভটি সকল প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার সুধীজনের।

এ বিষয়ে উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার  সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বাধীনতা, ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্মৃতিফলক শহীদ মিনার সম্পর্কে এখানকার শিক্ষার্থীদের ধারণা নামমাত্র। উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপনের পাশাপাশি এটি সম্পর্কে শিশুদের ভাষাগত জ্ঞান ও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নৌসাদ মাহমুদ মুঠোফোনে  জানান, এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নেই।শহীদমিনার এর জন্য সরকারি ভাবে কোনো বরাদ্দও পাইনি।এ উপজেলায় ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে এর মধ্যে ২২টি বিদ্যালয় শহীদ মিনার আছে, তবে সেই স্মৃতিস্তম্ভ গুলো স্থানীয় উদ্যোগে অভিভাবকরা ,এস এম সি, ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ মিলে শহীদমিনার গুলো তৈরি করেছেন। বাকি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তবে এ ব্যাপারে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। তবে,এটি করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি)।