ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির মুখে ভারত বিরোধিতার কথা মানায় না : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্কঃ
ভারত ইস্যুতে বিএনপির দ্বৈত-নীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে দেশের সম্পদ বিক্রির মুচলেখা দিয়ে ক্ষমতায় আসলেও তারা আজ ভারত বিরোধিতার কথা বলছেন। ভারত বিরোধিতার কথা বিএনপির মুখে মানায় না।
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুব মহিলা লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন শুনি খুব ভারত বিরোধী কথা। আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনে যখন আমেরিকান কোম্পানি আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে চাইলো ভারতের কাছে, তখন এই গ্যাস বিক্রির মুচলেখা দিয়েছিল কে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ভারত বিরোধী কথা বললেও আমেরিকান অ্যাম্বেসির লোক, ‘র’-এর লোকেরা তো হাওয়া ভবনে বসেই থাকতো এবং সেই নির্বাচনটায় সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগকে হারাবে আর এখান থেকে গ্যাস নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, ভারতে গিয়ে উনি (খালেদা জিয়া) বেশ ঘুরে টুরে আসলেন। যখনই এখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলো- গঙ্গার পানির কি হলো? উনি বললেন, গঙ্গার পানির কথা? ওহো.. ওটা বলতে তো তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ভারত বিরোধী কথা বললেন, এর আগে তিনি গঙ্গার পানি আদায়ের জন্য ফারাক্কা পর্যন্ত লং মার্চ আন্দোলনও করেছিলেন, কিন্তু ভারতে গিয়ে তিনি গঙ্গার পানির কথা ভুলেই গেলেন!
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সীমানা চুক্তি এবং সমুদ্র চুক্তি করে যান। কিন্তু জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া- যারাই ওই সময় ক্ষমতায় ছিল তারা কখনো এসব চুক্তির কথা একবারের জন্য বলেনি, সাহসও পায়নি। দালালি এমনভাবে ছিল যে, এটা করবার জন্য সে কথা তারা উচ্চারণও করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৬৪ হাজার শরণার্থী আমাদের ভারতে ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের। আমি সরকারে এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি করে সেসব শরণার্থীদের ফিরিয়ে এনেছি। বলা হয়েছিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হলে ফেনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব নাকি ভারত হয়ে যাবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তিতেও তারা বাধা দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ভারতের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি তারাই আবার ভারত বিরোধী কথা বলছে। আমি একটা কথাই বলবো, এ সমস্ত খেলা তারা অনেক খেলেছে। তাদের কোন দেশপ্রেম নেই। ক্ষমতাটা তাদের কাছে ভোগের বস্তু। কারণ, তারা যে যখনই ক্ষমতায় এসেছে, অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে। কিছু মুষ্টিমেয় লোককেও অর্থ-সম্পদের মালিক করেছে এবং তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক বেগম ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপির মুখে ভারত বিরোধিতার কথা মানায় না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
ভারত ইস্যুতে বিএনপির দ্বৈত-নীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে দেশের সম্পদ বিক্রির মুচলেখা দিয়ে ক্ষমতায় আসলেও তারা আজ ভারত বিরোধিতার কথা বলছেন। ভারত বিরোধিতার কথা বিএনপির মুখে মানায় না।
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুব মহিলা লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন শুনি খুব ভারত বিরোধী কথা। আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনে যখন আমেরিকান কোম্পানি আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে চাইলো ভারতের কাছে, তখন এই গ্যাস বিক্রির মুচলেখা দিয়েছিল কে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ভারত বিরোধী কথা বললেও আমেরিকান অ্যাম্বেসির লোক, ‘র’-এর লোকেরা তো হাওয়া ভবনে বসেই থাকতো এবং সেই নির্বাচনটায় সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগকে হারাবে আর এখান থেকে গ্যাস নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, ভারতে গিয়ে উনি (খালেদা জিয়া) বেশ ঘুরে টুরে আসলেন। যখনই এখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলো- গঙ্গার পানির কি হলো? উনি বললেন, গঙ্গার পানির কথা? ওহো.. ওটা বলতে তো তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ভারত বিরোধী কথা বললেন, এর আগে তিনি গঙ্গার পানি আদায়ের জন্য ফারাক্কা পর্যন্ত লং মার্চ আন্দোলনও করেছিলেন, কিন্তু ভারতে গিয়ে তিনি গঙ্গার পানির কথা ভুলেই গেলেন!
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সীমানা চুক্তি এবং সমুদ্র চুক্তি করে যান। কিন্তু জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া- যারাই ওই সময় ক্ষমতায় ছিল তারা কখনো এসব চুক্তির কথা একবারের জন্য বলেনি, সাহসও পায়নি। দালালি এমনভাবে ছিল যে, এটা করবার জন্য সে কথা তারা উচ্চারণও করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৬৪ হাজার শরণার্থী আমাদের ভারতে ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের। আমি সরকারে এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি করে সেসব শরণার্থীদের ফিরিয়ে এনেছি। বলা হয়েছিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হলে ফেনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব নাকি ভারত হয়ে যাবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তিতেও তারা বাধা দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ভারতের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি তারাই আবার ভারত বিরোধী কথা বলছে। আমি একটা কথাই বলবো, এ সমস্ত খেলা তারা অনেক খেলেছে। তাদের কোন দেশপ্রেম নেই। ক্ষমতাটা তাদের কাছে ভোগের বস্তু। কারণ, তারা যে যখনই ক্ষমতায় এসেছে, অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে। কিছু মুষ্টিমেয় লোককেও অর্থ-সম্পদের মালিক করেছে এবং তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক বেগম ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল।