ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর খোষঘরে ৪শ’ফুট লম্বা সাকুঁ লক্ষা‌ধিক মানুষের পারাপার

 ‌মো: ইমন মিয়া, পূর্ব ধৈইর পূর্ব ইউনিয়ন (মুরাদনগর)প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধৈইর পূর্ব ইউনিয়নের ইষ্ট্রগ্রাম – নবীয়াবাদ সড়কের খোষঘর প‌শ্চিম পাড়া শেষ সীমান্ত কোন প্রকার ব্রীজ না থাকা ও সারা বৎসর জলাবদ্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ৪শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রায় লক্ষা‌ধিক মানুষের। এ সস্থানে একটি ব্রিজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ বহু আবেদন-নিবেদন করা হলে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন যাতায়তকারী প্রায় তিন হাজার চে‌য়ে বে‌শি লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার উত্তর খোষঘর এলাকার এ সাঁকু দিয়ে প্রতি দিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর-পেশার মানুষসহ প্রায় দুই হাজার লো‌ক যাতায়েত করে থাকে। কিন্তু ব্রিজের অভাব প্রায় ১০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছ।

কখনো সাঁকুটি হয়ে পরছে ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়য়া শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে সাকোঁর উপর দিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে । যার ফলে অভিবাবকদের থাকতে হয় আতংকের মধ্যে। বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা বঞ্চিত হয়ে আছে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ব্রিজ‌টি নির্মান করা হলে যানবাহন যোগে অসুস্থ ব্যক্তিসহ লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতেও নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে স্থানীয়দের আশা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর খোষঘরে ৪শ’ফুট লম্বা সাকুঁ লক্ষা‌ধিক মানুষের পারাপার

আপডেট সময় ০৪:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
 ‌মো: ইমন মিয়া, পূর্ব ধৈইর পূর্ব ইউনিয়ন (মুরাদনগর)প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধৈইর পূর্ব ইউনিয়নের ইষ্ট্রগ্রাম – নবীয়াবাদ সড়কের খোষঘর প‌শ্চিম পাড়া শেষ সীমান্ত কোন প্রকার ব্রীজ না থাকা ও সারা বৎসর জলাবদ্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ৪শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রায় লক্ষা‌ধিক মানুষের। এ সস্থানে একটি ব্রিজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ বহু আবেদন-নিবেদন করা হলে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন যাতায়তকারী প্রায় তিন হাজার চে‌য়ে বে‌শি লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার উত্তর খোষঘর এলাকার এ সাঁকু দিয়ে প্রতি দিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর-পেশার মানুষসহ প্রায় দুই হাজার লো‌ক যাতায়েত করে থাকে। কিন্তু ব্রিজের অভাব প্রায় ১০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছ।

কখনো সাঁকুটি হয়ে পরছে ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়য়া শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে সাকোঁর উপর দিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে । যার ফলে অভিবাবকদের থাকতে হয় আতংকের মধ্যে। বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা বঞ্চিত হয়ে আছে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ব্রিজ‌টি নির্মান করা হলে যানবাহন যোগে অসুস্থ ব্যক্তিসহ লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতেও নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে স্থানীয়দের আশা।