ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিমকোর্ট সবসময় সংবিধানের অন্যতম অভিভাবক : প্রধান বিচারপতি

জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আইনের সীমার মধ্যে থেকে সুপ্রিমকোর্ট সবসময় সংবিধানের অন্যতম অভিভাবক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে ‘বিচারিক স্বাধীনতা’শীর্ষক তিনদিনব্যাপী এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি মঙ্গলবার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট রয় রিনাউডে, ইংল্যান্ডের বিচারক শামীম কোরাইশী, কমনওয়েলথ সচিবালয়ের এর আইন উপদেষ্টা মার্ক গোথরে।
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, কমনওয়েলথ ম্যাজিষ্ট্রেট ও জাজেস এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ যখন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তখন বিচার বিভাগ নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, আইন ও নির্বাহী বিভাগের কাজের ওপর আদালত বিচারিক পর্যালোচনার মাধ্যমে এবং কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। সাংবিধানিক পদ্ধতির অধীনে স্বাধীন বিচার বিভাগ এ দায়িত্ব পালন করে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের ভূমিকা সঠিকভাবে অঙ্কন করার মাধ্যমে সংবিধানকে সমুন্নত রাখা সুপ্রিমকোর্টের প্রধান অবদান।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, বিচারিক স্বাধীনতা মানে কোনো ধরণের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ ছাড়া বিচারকের ক্ষমতা প্রয়োগ করা। বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতার মূল ও ঐতিহ্যগত অর্থ হলো- সরকারের রাজনৈতিক শাখাগুলো থেকে বিশেষত নির্বাহী সরকার থেকে বিচারকদের সামষ্টিক ও স্বতন্ত্র স্বাধীনতা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণা কোনো শস্যভাণ্ডারের মত নয় যা শুধু বিচারকদের ওপর নির্ভর করে। এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা আইনী কাঠামোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই কাঠামোর মধ্যে থেকে বিচার বিভাগকে কাজ করতে হয়। এতে সরকারের সমর্থন এবং রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। বাসস
ইত্তেফাক/
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুপ্রিমকোর্ট সবসময় সংবিধানের অন্যতম অভিভাবক : প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ০৩:১৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আইনের সীমার মধ্যে থেকে সুপ্রিমকোর্ট সবসময় সংবিধানের অন্যতম অভিভাবক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে ‘বিচারিক স্বাধীনতা’শীর্ষক তিনদিনব্যাপী এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি মঙ্গলবার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট রয় রিনাউডে, ইংল্যান্ডের বিচারক শামীম কোরাইশী, কমনওয়েলথ সচিবালয়ের এর আইন উপদেষ্টা মার্ক গোথরে।
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, কমনওয়েলথ ম্যাজিষ্ট্রেট ও জাজেস এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ যখন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তখন বিচার বিভাগ নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, আইন ও নির্বাহী বিভাগের কাজের ওপর আদালত বিচারিক পর্যালোচনার মাধ্যমে এবং কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। সাংবিধানিক পদ্ধতির অধীনে স্বাধীন বিচার বিভাগ এ দায়িত্ব পালন করে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের ভূমিকা সঠিকভাবে অঙ্কন করার মাধ্যমে সংবিধানকে সমুন্নত রাখা সুপ্রিমকোর্টের প্রধান অবদান।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, বিচারিক স্বাধীনতা মানে কোনো ধরণের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ ছাড়া বিচারকের ক্ষমতা প্রয়োগ করা। বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতার মূল ও ঐতিহ্যগত অর্থ হলো- সরকারের রাজনৈতিক শাখাগুলো থেকে বিশেষত নির্বাহী সরকার থেকে বিচারকদের সামষ্টিক ও স্বতন্ত্র স্বাধীনতা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণা কোনো শস্যভাণ্ডারের মত নয় যা শুধু বিচারকদের ওপর নির্ভর করে। এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা আইনী কাঠামোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই কাঠামোর মধ্যে থেকে বিচার বিভাগকে কাজ করতে হয়। এতে সরকারের সমর্থন এবং রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। বাসস
ইত্তেফাক/