কর্মময় জীবনে নূরুল ইসলাম বিএসসি ১৯৬৪ সালে বিএসসি পাস করার পর শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি প্রথমে বর্তমান তিতাস উপজেলার মাছিমপুর এবং হোমনা উপজেলার কাশিপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দুই যুগ অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। শিক্ষকতা ও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মো. নূরুল ইসলাম বিএসসি- হোমনা ও পাশর্^বর্তী মুরাদনগর, দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় নূরু বিএসসি নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।

তিনি দেশ স্বাধীনের পর পর রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান র্ছিলেন। তারপর ১৯৭২ সালে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দুই মেয়াদে টানা ছয় বছর দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর মাঝে বিরতি দিয়ে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ গত ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের ব্যানারে নৌকা প্রতীক নিয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

তার মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে তিনি ২ স্ত্রী, ৫ ছেলে, ৪ মেয়ে, ভাই ও আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল তিন টায় তার গ্রামের বাড়ি কাশিপুর খেলার মাঠে নামাজে জানাজাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। হোমনা, মুরাদনগর, দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে আসা অসখ্য সাধারণ মানুষ তার জানাজায় শরীক হন।

জানাজাপূর্ব আলোচনায় মরহুম নূরুল ইসলাম বিএসসি’র ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. এরশাদ হোসেন মাস্টার, ছেলে মো. কামরুল ইসলা, হোমনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান মোল্লা, ইউএনও কাজী শহিদুল ইসলাম, ওসি রসুল আহমেদ নিজামী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল, হোমনা পৌর মেয়র ও কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি মো. শাহ আলম খন্দকার, উপজেলা কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি লি. (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ উদ্দিন সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।