ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন শবেবরাতের ফজিলত

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

পবিত্র শবে বরাতের রাত ২১ এপ্রিল। আরবি শাবান মাসের ১৫তম রজনীকে শবেবরাত বলে। এ পুণ্যময় রজনীর ফজিলত ও তাৎপর্য আল কোরআনে বর্ণিত না থাকলেও কয়েকটি আমলযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। শব ফারসি শব্দ। এর অর্থ রাত। বরাত আরবি ‘বারাআত’ থেকে এসেছে। এর একাধিক অর্থ আছে। তবে প্রসিদ্ধ অর্থ হলো মুক্তি। তাই শবেবরাতের অর্থ ‘মুক্তির রজনী’ বলা যায়।

শাবান মাসের ১৫তম রজনীর মর্যাদা আলাদাভাবে কয়েকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ ইবনে মাজাহতে এসেছে ‘হজরত আলী (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন শাবানের ১৫তম রজনী আসে, তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং দিনে রোজা রাখো। কারণ, আল্লাহ সেদিন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার আসমানে আসেন এবং বলতে থাকেন, কেউ আছে কি, গুনাহ মাফ চাইবে? আমি তার গুনাহ মাফ করে দেব।

কেউ আছে কি, রিজিক চাইবে? আমি তাকে রিজিক দান করব। কেউ আছে কি অসুস্থ? আমি তাকে সুস্থ করে দেব। আল্লাহ এভাবে ডাকতে থাকেন ভোর পর্যন্ত।’ বায়হাকিতে এসেছে ‘হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আজকের রজনীতে (শবেবরাতে) কী কী হয় তোমরা কি জানো? আয়েশা (রা.) বললেন, আপনি বলুন এ রজনীতে কী কী হয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আজকের রজনীতে আগামী এক বছরে পৃথিবীতে আগমনকারী আদমসন্তানদের নাম লেখা হয়। আগামী এক বছরে পৃথিবী থেকে কে কে বিদায় নেবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়।

এ রজনীতে মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। মানুষের রিজিক আল্লাহর  কাছ থেকে বরাদ্দ হয়।’ শবেবরাতে আমরা বিভিন্ন নেক আমল করতে পারি। জিকির করতে পারি। কোরআন তিলাওয়াত করতে পারি। নফল নামাজ পড়তে পারি। সম্ভব হলে সালাতুত্তাসবিহ পড়তে পারি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে এ নামাজ পড়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। নামাজটি পড়তে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই শবেবরাতে পড়া যায়। তা ছাড়া আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জন যারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাদের কবর জিয়ারত করতে পারি। নিজের গুনাহগুলোর কথা স্মরণ করে মহান পরওয়ারদিগারের দরবারে ক্ষমা চাওয়ার উত্তম সুযোগ শবেববাতে।

লেখক :  খতিব, সমিতি বাজার মসজিদ, নাখালপাড়া, ঢাকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

জেনে নিন শবেবরাতের ফজিলত

আপডেট সময় ০৪:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯
ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

পবিত্র শবে বরাতের রাত ২১ এপ্রিল। আরবি শাবান মাসের ১৫তম রজনীকে শবেবরাত বলে। এ পুণ্যময় রজনীর ফজিলত ও তাৎপর্য আল কোরআনে বর্ণিত না থাকলেও কয়েকটি আমলযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। শব ফারসি শব্দ। এর অর্থ রাত। বরাত আরবি ‘বারাআত’ থেকে এসেছে। এর একাধিক অর্থ আছে। তবে প্রসিদ্ধ অর্থ হলো মুক্তি। তাই শবেবরাতের অর্থ ‘মুক্তির রজনী’ বলা যায়।

শাবান মাসের ১৫তম রজনীর মর্যাদা আলাদাভাবে কয়েকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ ইবনে মাজাহতে এসেছে ‘হজরত আলী (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন শাবানের ১৫তম রজনী আসে, তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং দিনে রোজা রাখো। কারণ, আল্লাহ সেদিন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার আসমানে আসেন এবং বলতে থাকেন, কেউ আছে কি, গুনাহ মাফ চাইবে? আমি তার গুনাহ মাফ করে দেব।

কেউ আছে কি, রিজিক চাইবে? আমি তাকে রিজিক দান করব। কেউ আছে কি অসুস্থ? আমি তাকে সুস্থ করে দেব। আল্লাহ এভাবে ডাকতে থাকেন ভোর পর্যন্ত।’ বায়হাকিতে এসেছে ‘হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আজকের রজনীতে (শবেবরাতে) কী কী হয় তোমরা কি জানো? আয়েশা (রা.) বললেন, আপনি বলুন এ রজনীতে কী কী হয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আজকের রজনীতে আগামী এক বছরে পৃথিবীতে আগমনকারী আদমসন্তানদের নাম লেখা হয়। আগামী এক বছরে পৃথিবী থেকে কে কে বিদায় নেবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়।

এ রজনীতে মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। মানুষের রিজিক আল্লাহর  কাছ থেকে বরাদ্দ হয়।’ শবেবরাতে আমরা বিভিন্ন নেক আমল করতে পারি। জিকির করতে পারি। কোরআন তিলাওয়াত করতে পারি। নফল নামাজ পড়তে পারি। সম্ভব হলে সালাতুত্তাসবিহ পড়তে পারি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে এ নামাজ পড়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। নামাজটি পড়তে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই শবেবরাতে পড়া যায়। তা ছাড়া আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জন যারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাদের কবর জিয়ারত করতে পারি। নিজের গুনাহগুলোর কথা স্মরণ করে মহান পরওয়ারদিগারের দরবারে ক্ষমা চাওয়ার উত্তম সুযোগ শবেববাতে।

লেখক :  খতিব, সমিতি বাজার মসজিদ, নাখালপাড়া, ঢাকা।