ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লন্ডনের গ্রিনফেল টাওয়ারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯

প্রবাস ডেস্কঃ
লন্ডনের গ্রিনফেল টাওয়ারে নিহত অথবা নিখোঁজ থাকায় মৃত ধরে নেয়া ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জন হয়েছে। সোমবার লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি এক বিবৃতিতে নতুন এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, নিহতের এই সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে। গত ১৩ জুন পশ্চিম লন্ডনের নর্থ কেনসিংটন ব্লকের ২৪ তলা গ্রিনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে।
নিহতদের মধ্যে এক বাংলাদেশি পরিবারের ৫ জন রয়েছেন। হতভাগ্য পরিবারটি ওই ভবনের সপ্তদশ তলার ১৪৪ নম্বর ফ্লাট এ বসবাস করতেন। তারা আগুন থেকে বাঁচার জন্য বাথরুমের ভিতর আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। অগ্নিকাণ্ডে কমরু মিয়া (৮৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৬০), ছেলে আব্দুল হানিফ (২৯), আবদুল হামিদ (২৬), ও মেয়ে হুসনা বেগম তানিমা (২২) মারা গেছেন। মো. কমরু মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের খৈসাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেন, যেসব পরিবার এই দুর্ঘটনায় প্রভাবিত হয়েছে তারা ১ জনের বেশি আত্মীয় হারিয়েছে। তিনি যোগ করেন, ভবনে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ ভবন থেকে বের করাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তবে এই অভিযান শেষ হতে অনেক অনেক সপ্তাহ লাগতে পারে।
কান্ডি বলেন, এই সময়টা পরিবারগুলোর জন্য খুব দুঃসময়। এই অগ্নিকাণ্ডে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে সেটা বর্ণনা করা সম্ভব। আমার জন্য গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে এই দুর্ঘটনার সরাসরি শিকার পরিবারগুলোর প্রশ্নের উত্তর দেয়া। বিবিসি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

লন্ডনের গ্রিনফেল টাওয়ারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯

আপডেট সময় ০১:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭
প্রবাস ডেস্কঃ
লন্ডনের গ্রিনফেল টাওয়ারে নিহত অথবা নিখোঁজ থাকায় মৃত ধরে নেয়া ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জন হয়েছে। সোমবার লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি এক বিবৃতিতে নতুন এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, নিহতের এই সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে। গত ১৩ জুন পশ্চিম লন্ডনের নর্থ কেনসিংটন ব্লকের ২৪ তলা গ্রিনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে।
নিহতদের মধ্যে এক বাংলাদেশি পরিবারের ৫ জন রয়েছেন। হতভাগ্য পরিবারটি ওই ভবনের সপ্তদশ তলার ১৪৪ নম্বর ফ্লাট এ বসবাস করতেন। তারা আগুন থেকে বাঁচার জন্য বাথরুমের ভিতর আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। অগ্নিকাণ্ডে কমরু মিয়া (৮৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৬০), ছেলে আব্দুল হানিফ (২৯), আবদুল হামিদ (২৬), ও মেয়ে হুসনা বেগম তানিমা (২২) মারা গেছেন। মো. কমরু মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের খৈসাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেন, যেসব পরিবার এই দুর্ঘটনায় প্রভাবিত হয়েছে তারা ১ জনের বেশি আত্মীয় হারিয়েছে। তিনি যোগ করেন, ভবনে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ ভবন থেকে বের করাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তবে এই অভিযান শেষ হতে অনেক অনেক সপ্তাহ লাগতে পারে।
কান্ডি বলেন, এই সময়টা পরিবারগুলোর জন্য খুব দুঃসময়। এই অগ্নিকাণ্ডে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে সেটা বর্ণনা করা সম্ভব। আমার জন্য গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে এই দুর্ঘটনার সরাসরি শিকার পরিবারগুলোর প্রশ্নের উত্তর দেয়া। বিবিসি।