ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর পর দুই বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমেছে: নাসা

গ্রিন হাউজের ক্ষতিকারক প্রভাবে প্রতি বছর বাড়তে থাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলার পাশাপাশি বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।
তবে নাসার এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি এই দুই বছরে উপর্যুপরি তাপমাত্রা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গড় তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে গত এক শতকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। তবে আশ্চর্যের বিষয় গড় তাপমাত্রা কমার বিষয়টি গণমাধ্যমে সেইভাবে আলোচনায় আসেনি।
বৈশ্বিক তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করতে গিয়ে নাসার কর্মকর্তা অ্যারন ব্রাউন বিষয়টি দেখে রীতিমতো বিস্মিত হন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে তিনি এটিকে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫ মাসে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা কমেছিল। ২০১৭ সালের একই সময়েও তাপমাত্রা কমেছিল। ২০১৭ সালের ঐ পাঁচ মাসে তাপমাত্রা কমার ঘটনাটিকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেছেন অ্যারন ব্রাউন।
এতদিন বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে নানা সময়ে সতর্ক করে এসেছে। নাসার এই তথ্য তার সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছে। তবে এই দুই বছরের তাপমাত্রা কমে আসার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টিকে মোটেই গুজব হিসেবে দেখতে চান না তারা। তাদের বক্তব্য, গত দুই বছর ধরে তাপমাত্রা বাড়ছে না বলে পুরো শতকের তাপমাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
এর আগে আমেরিকান আবহাওয়াগত সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছিল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির পেছনে শতকরা ৪৫ ভাগ ভূমিকা কলকারখানা থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের। তবে ঐ সময়ে এর বিরোধিতা করে অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের পর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি।
এতদিন ধরে প্রায় সব গবেষণাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে হঠাৎ করে নাসার পক্ষ থেকে গত দুই বছরে তাপমাত্রা কমে আসার যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে নাসার পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, মাত্র দুই বছরের তাপমাত্রার এই চিত্র পুরো এক শতকের প্রতিনিধিত্ব করে না।-ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

পর পর দুই বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমেছে: নাসা

আপডেট সময় ০৯:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মে ২০১৮
গ্রিন হাউজের ক্ষতিকারক প্রভাবে প্রতি বছর বাড়তে থাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলার পাশাপাশি বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।
তবে নাসার এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি এই দুই বছরে উপর্যুপরি তাপমাত্রা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গড় তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে গত এক শতকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। তবে আশ্চর্যের বিষয় গড় তাপমাত্রা কমার বিষয়টি গণমাধ্যমে সেইভাবে আলোচনায় আসেনি।
বৈশ্বিক তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করতে গিয়ে নাসার কর্মকর্তা অ্যারন ব্রাউন বিষয়টি দেখে রীতিমতো বিস্মিত হন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে তিনি এটিকে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫ মাসে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা কমেছিল। ২০১৭ সালের একই সময়েও তাপমাত্রা কমেছিল। ২০১৭ সালের ঐ পাঁচ মাসে তাপমাত্রা কমার ঘটনাটিকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেছেন অ্যারন ব্রাউন।
এতদিন বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে নানা সময়ে সতর্ক করে এসেছে। নাসার এই তথ্য তার সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছে। তবে এই দুই বছরের তাপমাত্রা কমে আসার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টিকে মোটেই গুজব হিসেবে দেখতে চান না তারা। তাদের বক্তব্য, গত দুই বছর ধরে তাপমাত্রা বাড়ছে না বলে পুরো শতকের তাপমাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
এর আগে আমেরিকান আবহাওয়াগত সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছিল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির পেছনে শতকরা ৪৫ ভাগ ভূমিকা কলকারখানা থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের। তবে ঐ সময়ে এর বিরোধিতা করে অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের পর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি।
এতদিন ধরে প্রায় সব গবেষণাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে হঠাৎ করে নাসার পক্ষ থেকে গত দুই বছরে তাপমাত্রা কমে আসার যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে নাসার পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, মাত্র দুই বছরের তাপমাত্রার এই চিত্র পুরো এক শতকের প্রতিনিধিত্ব করে না।-ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি।