ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেরাদুনে আগামীকাল বাংলাদেশ- আফগানিস্তান মুখোমুখি

খেলাধূলা ডেস্কঃ

প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় টি-২০ সিরিজে আগামীকাল রোববার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ভারতের দেরাদুনে অনুষ্ঠিত হবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ- যা আফগানদের হোম সিরিজ। দু’দলেরই লক্ষ্য প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ শুরু করা। ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায়। এ পর্যন্ত মাত্র একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কোন টি-২০ সিরিজ খেলেনি তারা।

অবশ্য প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজ শুরু করলেও, ছোট ফরম্যাটে ইতোমধ্যে লড়াই করেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। তাও আবার মাত্র একবার। ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওই ম্যাচে হেসেখেলে জয় পেয়েছিলো টাইগাররা। বোলারদের নৈপুণ্যে আফগানদের ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। ৪ বছর আগের সেই আফগানিস্তান, এখন আর আগের চেহারায় নেই। বদলে গেছে আফগান দলের চিত্রপট। টি-২০ ফরম্যাটে সর্বাধিক উন্নতি করা দল আফগানরা। আইসিসির র‌্যাংকিং সেটিই প্রমাণ দিচ্ছে। আইসিসি টি-২০ র‌্যাংকিং-এ বাংলাদেশকে পেছনে রেখেছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দলটি।

বর্তমানে অষ্টম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
তাই আফাগানিস্তানের থেকে পিছিয়ে থেকেই প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় টি-২০ সিরিজ শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সিরিজ জয়ই প্রধান টার্গেট- দেশ ছাড়ার আগে এমনই বলেছিলেন তিনি, ‘আমাদের প্রধান টার্গেট সিরিজ জয়। আমরা সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। চেষ্টা করবো ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার। প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ভালো শুরু করতে পারি তবে পরের দু’ম্যাচ আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে। আমরা ভালো খেলার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো এবং সিরিজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবো’।

দলনেতার মতো একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশের দলের সহঅধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি। দেশ ছাড়ার আগে মাহমুদুল্লাহ বলেন, আমি চ্যালেঞ্জটা এভাবে দেখি, আমরা যখন খেলি সেটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক একটা চিহ্ন ছিলো। এখন সেটা আমাদের সামনে থেকে সরে গেছে। ডে-বাই-ডে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজটি আমাদের জন্য আরও একটি সুযোগ। এই সিরিজটি জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজে আমাদের সুযোগ তৈরি হবে।
তবে বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃসংবাদ বাম পায়ের আঙ্গুলে চোট পেয়ে আসন্ন টি-২০ সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আবুল হাসান রাজু। ফিজের না থাকাটা দলের জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ফিজ না থাকাতে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা হবে। আমাদের দলের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার সে। আমাদের জন্য কঠিন হবে। এটা কিন্তু আরেকটা সুযোগ অন্য বোলারদের, অন্য আরেকজন খেলোয়াড়ের জন্য। যার জন্য সুযোগটি হবে সে যেনো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে।

তবে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজ থেকে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে পারে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মাটিতে অনুষ্ঠেয় নিদাহাস টি-২০ সিরিজে স্বাগতিকদের টপকে ফাইনাল খেলে টাইগাররা। ফাইনালে ভারতের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ বলে হার মানে সাকিবের দল। তারপরও বাংলাদেশের পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিকভাবেই ওই সিরিজ থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। তারপরও টি-২০ সিরিজে আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, নতুন দলগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। তারা ভালো পারফরমেন্স করছে। ক্রিকেটের জন্য নতুন দলের উন্নতি ভালো লক্ষণ। আমাদের জন্য এটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জের। আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এই সিরিজে জয়ের বিকল্প নেই। আশা করি ভালো ক্রিকেট খেলে, সিরিজ জিততে পারবো আমরা।

র‌্যাংকিং-এর পাশাপাশি শক্তির বিচারেও ছোট ফরম্যাটে কিছুটা এগিয়ে আফগানিস্তান। কিন্তু কাগজ-কলমের হিসাবটা অন্যভাবে ব্যাখা দেন মাহমুদুল্লাহ, ‘দুই দলের শক্তির জায়গা দুই রকম। আমাদের ব্যাটিং শক্তি এক রকম। অবশ্যই ব্যাটিং গভীরতা এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আমরা এগিয়ে। আফগানিস্তানের টি-২০ পারফরম্যান্স খুব ভালো। বোলিং অনেক বেশি ভালো। তারকা ক্রিকেটার আছে তাদেরও। ফলে দু’দলের শক্তির জায়গা দু’রকম। যদি পেস আক্রমণ দেখা হয়, তাদের চেয়ে আমাদের পেস আক্রমণ বেশি সমৃদ্ধ। যদি স্পিনের কথা বলা হয়, তবে সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। অপু ভালো করছে। তাদের স্পিন বিভাগে রশিদ-মুজিব আছে। যেটা আগে বললাম, আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এর বাইরে সহজ অন্য কোন সুযোগ নেই।

এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান দারউইশ রসুলি। যুব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারনেই জাতীয় দলে ডাক পেলেন তিনি। তবে ১৫ মাস পর আবারো দলে ফিরেছেন অফ স্পিনার নজিব তারাকাই। ঘরোয়া আসরে পারফরমেন্সের সুফল পেয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি স্পিন বিভাগে রয়েছেন রশিদ খান ও মুজিব-উর রহমান। সদ্যই শেষ হওয়া আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে রশিদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেন মুজিব। রশিদ ১৭ ম্যাচে ২১ উইকেট এবং ১১ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন। তাই রশিদের সাথে মুজিবের স্পিন আক্রমনের বিপক্ষে বড় ধরনের পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ দল 
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, আবুল হাসান রাজু, আবু হায়দার রনি, রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী।

আফগানিস্তান দল 
আসগর স্টানিকজাই (অধিনায়ক), নজিব তারাকাই, উসমান গনি, মোহাম্মদ শাহজাদ, মুজিব-উর রহমান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, শাফিকুল্লাহ, দারউইশ রসুলি, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, শারাফুদ্দিন আশরাফ, শাপুর জাদরান ও আফতাব আলম।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

দেরাদুনে আগামীকাল বাংলাদেশ- আফগানিস্তান মুখোমুখি

আপডেট সময় ০৯:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ

প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় টি-২০ সিরিজে আগামীকাল রোববার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ভারতের দেরাদুনে অনুষ্ঠিত হবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ- যা আফগানদের হোম সিরিজ। দু’দলেরই লক্ষ্য প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ শুরু করা। ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায়। এ পর্যন্ত মাত্র একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কোন টি-২০ সিরিজ খেলেনি তারা।

অবশ্য প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজ শুরু করলেও, ছোট ফরম্যাটে ইতোমধ্যে লড়াই করেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। তাও আবার মাত্র একবার। ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওই ম্যাচে হেসেখেলে জয় পেয়েছিলো টাইগাররা। বোলারদের নৈপুণ্যে আফগানদের ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। ৪ বছর আগের সেই আফগানিস্তান, এখন আর আগের চেহারায় নেই। বদলে গেছে আফগান দলের চিত্রপট। টি-২০ ফরম্যাটে সর্বাধিক উন্নতি করা দল আফগানরা। আইসিসির র‌্যাংকিং সেটিই প্রমাণ দিচ্ছে। আইসিসি টি-২০ র‌্যাংকিং-এ বাংলাদেশকে পেছনে রেখেছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দলটি।

বর্তমানে অষ্টম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
তাই আফাগানিস্তানের থেকে পিছিয়ে থেকেই প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় টি-২০ সিরিজ শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সিরিজ জয়ই প্রধান টার্গেট- দেশ ছাড়ার আগে এমনই বলেছিলেন তিনি, ‘আমাদের প্রধান টার্গেট সিরিজ জয়। আমরা সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। চেষ্টা করবো ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার। প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ভালো শুরু করতে পারি তবে পরের দু’ম্যাচ আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে। আমরা ভালো খেলার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো এবং সিরিজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবো’।

দলনেতার মতো একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশের দলের সহঅধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি। দেশ ছাড়ার আগে মাহমুদুল্লাহ বলেন, আমি চ্যালেঞ্জটা এভাবে দেখি, আমরা যখন খেলি সেটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক একটা চিহ্ন ছিলো। এখন সেটা আমাদের সামনে থেকে সরে গেছে। ডে-বাই-ডে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজটি আমাদের জন্য আরও একটি সুযোগ। এই সিরিজটি জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজে আমাদের সুযোগ তৈরি হবে।
তবে বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃসংবাদ বাম পায়ের আঙ্গুলে চোট পেয়ে আসন্ন টি-২০ সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আবুল হাসান রাজু। ফিজের না থাকাটা দলের জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ফিজ না থাকাতে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা হবে। আমাদের দলের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার সে। আমাদের জন্য কঠিন হবে। এটা কিন্তু আরেকটা সুযোগ অন্য বোলারদের, অন্য আরেকজন খেলোয়াড়ের জন্য। যার জন্য সুযোগটি হবে সে যেনো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে।

তবে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজ থেকে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে পারে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মাটিতে অনুষ্ঠেয় নিদাহাস টি-২০ সিরিজে স্বাগতিকদের টপকে ফাইনাল খেলে টাইগাররা। ফাইনালে ভারতের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ বলে হার মানে সাকিবের দল। তারপরও বাংলাদেশের পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিকভাবেই ওই সিরিজ থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। তারপরও টি-২০ সিরিজে আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, নতুন দলগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। তারা ভালো পারফরমেন্স করছে। ক্রিকেটের জন্য নতুন দলের উন্নতি ভালো লক্ষণ। আমাদের জন্য এটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জের। আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এই সিরিজে জয়ের বিকল্প নেই। আশা করি ভালো ক্রিকেট খেলে, সিরিজ জিততে পারবো আমরা।

র‌্যাংকিং-এর পাশাপাশি শক্তির বিচারেও ছোট ফরম্যাটে কিছুটা এগিয়ে আফগানিস্তান। কিন্তু কাগজ-কলমের হিসাবটা অন্যভাবে ব্যাখা দেন মাহমুদুল্লাহ, ‘দুই দলের শক্তির জায়গা দুই রকম। আমাদের ব্যাটিং শক্তি এক রকম। অবশ্যই ব্যাটিং গভীরতা এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আমরা এগিয়ে। আফগানিস্তানের টি-২০ পারফরম্যান্স খুব ভালো। বোলিং অনেক বেশি ভালো। তারকা ক্রিকেটার আছে তাদেরও। ফলে দু’দলের শক্তির জায়গা দু’রকম। যদি পেস আক্রমণ দেখা হয়, তাদের চেয়ে আমাদের পেস আক্রমণ বেশি সমৃদ্ধ। যদি স্পিনের কথা বলা হয়, তবে সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। অপু ভালো করছে। তাদের স্পিন বিভাগে রশিদ-মুজিব আছে। যেটা আগে বললাম, আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এর বাইরে সহজ অন্য কোন সুযোগ নেই।

এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান দারউইশ রসুলি। যুব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারনেই জাতীয় দলে ডাক পেলেন তিনি। তবে ১৫ মাস পর আবারো দলে ফিরেছেন অফ স্পিনার নজিব তারাকাই। ঘরোয়া আসরে পারফরমেন্সের সুফল পেয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি স্পিন বিভাগে রয়েছেন রশিদ খান ও মুজিব-উর রহমান। সদ্যই শেষ হওয়া আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে রশিদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেন মুজিব। রশিদ ১৭ ম্যাচে ২১ উইকেট এবং ১১ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন। তাই রশিদের সাথে মুজিবের স্পিন আক্রমনের বিপক্ষে বড় ধরনের পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ দল 
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, আবুল হাসান রাজু, আবু হায়দার রনি, রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী।

আফগানিস্তান দল 
আসগর স্টানিকজাই (অধিনায়ক), নজিব তারাকাই, উসমান গনি, মোহাম্মদ শাহজাদ, মুজিব-উর রহমান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, শাফিকুল্লাহ, দারউইশ রসুলি, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, শারাফুদ্দিন আশরাফ, শাপুর জাদরান ও আফতাব আলম।