খেলাধূলা ডেস্কঃ
১৯৯৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে টানা তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা আছে। অস্ট্রেলিয়া দলে এখন সহকারী কোচের ভূমিকা পালন করা রিকি পন্টিংয়ের চেয়ে বিশ্বকাপ ব্যাপারটা খুব কম লোকই বোঝে। সেই বিশ্বকাপে আরো একবার ফেভারিট হিসেবেই খেলতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে পন্টিং মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ভাগ্য নির্ভর করছে দলটির স্পিন বোলিং কেমন হয় এবং তাদের ব্যাটসম্যানরা স্পিন কেমন খেলতে পারেন, তার ওপর।
দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে পন্টিং বলেছেন, এই স্পিন ভালো করা ও ভালো খেলাই হবে এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান সাফল্যের নিয়ামক, ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সাফল্য পাবে কি না, সেটা নির্ভর করবে দুটো ব্যাপারের ওপর। প্রথমত তারা কেমন স্পিন বল করে। আর দ্বিতীয়ত তারা কেমন স্পিন বল খেলে। গত ১২ থেকে ১৮ মাস ধরে এটাই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকিলিস হিল (প্রধান দুর্বলতা)। এখন অবশ্য জাম্পা খুব ভালো বল করছে। এছাড়া নাথান লায়ন স্কোয়াডে আছে। গ্লেন ম্যাকওয়েলও বল হাতে ভালো ভূমিকা রাখছে। আর আমি মনে করি গত ১২ বা ১৮ মাস আগের চেয়ে এখন আমাদের মিডল অর্ডার স্পিন খেলায় বেশি দক্ষ। ওয়ার্নার আছে এখন। স্টিভ স্মিথও ফিরে এসেছে। ফলে মিডল অর্ডারকে এখন স্পিনের বিপক্ষে আগের চেয়ে ভালো মনে হচ্ছে।’
বল ট্যাম্পারিং কাণ্ডের ফলে এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর দলে ফিরে এসেছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। তারা বিশ্বকাপ দলে জায়গাও করে নিয়েছেন। পন্টিং মনে করেন, বিশ্বকাপের মতো আসরে এই দুজন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন, ‘তারা দুজনই খুব ভালো খেলছে। যদিও স্টিভ স্মিথ মনে করছে, সে এখনো হয়তো শতভাগ ফিট নয়। তবে ফিটনেসের কাছাকাছিই আছে সে। ওয়ার্নার আইপিএলে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী খেলোয়াড় ছিল। তারা দুজন ফিরে এসেছে। তারা মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। তাদের হয়তো এখন দর্শকের সঙ্গেও কিছু ব্যাপার সামলাতে হবে। তবে তারা অনেক পরিণত ক্রিকেটার। তারা এসব আগেও দেখেছে। ফলে তারা সবকিছু ঠিকমতো সামলাবে বলে আমি মনে করি।’
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার একটা বড় দুশ্চিন্তা ছিল, অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ফর্ম। অবশেষে তিনি সেই ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন এশিয়া সফরে। প্রথমে ভারতের মাটিতে একটা বড় ইনিংস খেলেছেন। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে আরব আমিরাতে রান বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। ফিঞ্চের এই ফর্মে ফেরা অস্ট্রেলিয়াকে আশা দেবে বলে বিশ্বাস করছেন পন্টিং, ‘ঘটনা হলো—শেষ দিকে এসে অ্যারন ফিঞ্চ অধিনায়ক হিসেবেও সাফল্য পেতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে সে নিজে প্রায় ১২ মাসের একটা খরা কাটিয়ে রানে ফিরেছে। এটা ওকে ও দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ভারতে ভারতকে হারিয়ে ফেরাটা তার মুকুটে একটা বড় পালক। আমি গত ১২ মাস ধরেই বলছি, এই দলটার ভালো সুযোগ আছে। জাস্টিন (ল্যাঙ্গার) ও সিনিয়ররা দল নিয়ে যে পরিশ্রম করছে, সেটা অবশেষে ফল দিতে শুরু করেছে।’