খেলাধূলা:
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ডোমিঙ্গো। তার সঙ্গে আপাতত দুই বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
কোচের শর্টলিস্টে ডোমিঙ্গোর সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের মাইক হেসন। কিন্তু হেসনকে আনতে হলে বিসিবিকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার ডলার গুনতে হতো। যা অনেকটা কঠিনই ছিল। এছাড়া মাহেলা জয়াবর্ধেনে, মিকি আর্থার এবং গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার টাইগারদের কোচ হতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর টাইগারদের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন স্টিভ রোডস। এরপরই নতুন কোচ খোঁজা শুরু করে বিসিবি। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
২০১১ সালের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পান গ্যারি কারস্টেন। সে সময় সহকারী কোচ হন ডোমিঙ্গো। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কারস্টেনের কাছ থেকে কেবল টি-টোয়েন্টি কোচের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।
২০১৩ সালের মে মাসে কারস্টেন ঘোষণা দেন জুলাইয়ের শেষের দিকে প্রোটিয়া হেড কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তারপরই কারস্টেনের স্থলাভিষিক্ত হন ডোমিঙ্গো।
হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলেন ডোমিঙ্গো। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তার সঙ্গে চুক্তি আরও দুই বছর বাড়ায় প্রোটিয়ারা। ডোমিঙ্গোর কোচিংয়েই ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৭ সালের আগস্টে এসে ডোমিঙ্গোকে সরিয়ে নতুন হেড কোচ হিসেবে ওটিস গিবসনকে নিয়োগ দেয় প্রোটিয়ারা। তবে ডোমিঙ্গোকে ঠিকই নিজেদের কাছে রেখে দেয় তারা, দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের দায়িত্ব। সেখান থেকেই এবার বাংলাদেশ শিবিরে যোগ দিলেন অভিজ্ঞ এই কোচ।