মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত কামাল্ল-মুরাদনগর গ্যাস লাইনে তৃতীয় বারের মতো আবারও অভিযান চালিয়েছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের মধ্যনগর থেকে অভিযান শুরু করে কামাল্লা পর্যন্ত শেষ করেন।
এতে প্রায় ৮ হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারন করা হয়। তবে রহস্যজনক কারনে বার বার উক্ত অবৈধ গ্যাস লাইন নির্মানে জড়িত ঠিকাদারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশানের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ফিরুজ আল মামুনের নেতৃতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিশন কোম্পানীর দেবিদ্বার সাব-সেকশন অফিস এ অভিযান চালান।
জানা যায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিশন কোম্পানীর দেবিদ্বার সাব-সেকশনের উপ-ব্যবস্থাপক বাপ্পি শাহরিয়র, সহ: প্রকৌশলি অতুল কুমার নাগ, জসিম উদ্দিনসহ বাখরাবাদ গ্যাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা আভিযানে অংশ নেন।
নির্মানাধীন এ লাইন থেকে প্রায় ৩হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে এই চক্রটি। এজন্য প্রতি গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। যা থেকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আর মাঝ থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র গুলো। বাখরাবাদ গ্যাস অফিস অনুমোদিত রাইজার মেশিন দিয়ে পাইব লাইন স্থাপন না করে রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে লাইন নিয়ে ওয়েডিং করে পাইব লাইন স্থাপন করাতে এলাকাবাসির মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার সাব-সেকশনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপ্পি শাহরিয়ার জানান, অবৈধ এ গ্যাস লাইনটি আগেও আরেক বার আমরা অভিযান চালিয়ে ছিলাম। এ বার তৃতীয় বারের মতো এ গ্যাস লাইনে অভিযান পরিচালনা করা হলো।
তিনি আরো জানান, দেবিদ্বার সাব-সেকশনের আওতাধীন অবৈধ গ্যাস লাইন যেখানে নির্মান করা হবে আমরা সেখানেই অভিযান চালিয়ে অসাধু চক্রের বিরুদ্দে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ সময় স্থানীয় জনগন কাঙ্খিত এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে মুরাদনগর উপজেলার সকল স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট দাবি করেন।