ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোনালদোর রেকর্ডের দিনে পর্তুগালের জয়

খেলাধূলা ডেস্কঃ

ফুটবলে ৩৬ বছরের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যে এখনও যেকোনো দলের অপরিহার্য সদস্য তার আবারও প্রমাণ মিলল তার জাদুকরি পায়ে। বিতর্ক, গোল, রেকর্ড ও শিরোনাম সবটাই যেন ফুটবলের এই সুপারস্টারে আটকে আছে। গতকাল রাতে বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে জোড়া গোল করে দলকে টেনে তুললেন অধিনায়ক। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ার ম্যাচে রোনালদো বোঝালেন ‘এখনও অনেক বাকি’।

বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে সবার দৃষ্টি ছিল রোনালদোর ওপর। অবশ্য এগিয়ে যাবার সুযোগ থাকলেও অবশেষে ত্রাতা হয়ে থাকা রোনালদোতেই জিতেছে পর্তুগিজরা। সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও বনেছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা।

রেকর্ডের হাতছানি দেওয়া ম্যাচে অবশ্য প্রথমে হতাশ করেছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার। আলি দাইয়ের রেকর্ড ভেঙে একচ্ছত্রভাবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলস্কোরার হতে আরও বেশি সময় নিল। অবশ্য প্রথমার্ধে ১০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টির সুযোগে একপ্রকার রোনালদোর রেকর্ড গড়া হয়েই গেছিল। তবে বাদ সাধলো আইরিশ গোলরক্ষক বাজুনু।
আরো একবার মেতেছিলেন চেনা এই উদযাপনে।

রোনালদোকে ফিরিয়ে দেওয়া স্পট কিক নিয়েই অবশ্য বিতর্ক ছিল। পেনাল্টি সিদ্ধান্তে ভিএআর চেকের সময়ই রোনালদো পেনাল্টি স্পটে বল বসিয়ে মারার জন্য প্রস্তুতি নেন। তখনই ডারা ওশে সেই জায়গা থেকে বল সরিয়ে দেন। এরপরেই ক্ষুব্ধ রোনালদো তেড়েফুড়ে যান প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের দিকে। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টিপাত করেননি রেফারি। তবে সুযোগটা শেষ পর্যন্ত হাতছাড়াই হয় সিআরসেভেনের।

প্রথমার্ধে পেনাল্টি ছাড়াও একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে পর্তুগাল। তবে দুর্দান্ত হেডে শেষ মুহুর্তে আইরিশদের এগিয়ে দেন জন ইগান। পিছিয়ে থেকে বিরতি যেতে হয় পর্তুগিজদের।রেকর্ড গড়েই পর্তুগালকে জেতান রোনালদো।
রেকর্ড গড়েই পর্তুগালকে জেতান রোনালদো।

ঘরের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পর্তুগাল। এসময় দলকে দারুণ এক হেডে গোল করে সমতায় ফেরান রোনালদো। আর সেই সঙ্গে আলী দাইকে ছাড়িয়ে যান তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি ছিল রোনালদোর রেকর্ড ১১০তম গোল। অবশ্য যোগ করা সময়ে নিজের নামে গড়া রেকর্ডটার ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নিলেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ের ছয় মিনিটের মাথায় হেডে জালে বল জড়ান রোনালদো। তাতে ক্যারিয়ারের ১১১তম গোলটি হয়ে গেল রোনালদো। সিআরসেভেনের রেকর্ডের দিনে অবশ্য পর্তুগালকে ২-১ গোলের ব্যবধানের জয় পায়। দুটি গোলই রোনালদোর।

পর্তুগালের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর প্রথম গোল পেতে রোনালদোকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আট ম্যাচ। ২০০৪ সালের ইউরোতে পর্তুগালের প্রথম ম্যাচে গ্রিসের বিপক্ষে গোলটি পেয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। রোনালদো রেকর্ডভাঙা গোলটি পেলেন ৩৬ বছর বয়সে ১৮০তম ম্যাচে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

রোনালদোর রেকর্ডের দিনে পর্তুগালের জয়

আপডেট সময় ০৪:১১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

খেলাধূলা ডেস্কঃ

ফুটবলে ৩৬ বছরের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যে এখনও যেকোনো দলের অপরিহার্য সদস্য তার আবারও প্রমাণ মিলল তার জাদুকরি পায়ে। বিতর্ক, গোল, রেকর্ড ও শিরোনাম সবটাই যেন ফুটবলের এই সুপারস্টারে আটকে আছে। গতকাল রাতে বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে জোড়া গোল করে দলকে টেনে তুললেন অধিনায়ক। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ার ম্যাচে রোনালদো বোঝালেন ‘এখনও অনেক বাকি’।

বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে সবার দৃষ্টি ছিল রোনালদোর ওপর। অবশ্য এগিয়ে যাবার সুযোগ থাকলেও অবশেষে ত্রাতা হয়ে থাকা রোনালদোতেই জিতেছে পর্তুগিজরা। সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও বনেছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা।

রেকর্ডের হাতছানি দেওয়া ম্যাচে অবশ্য প্রথমে হতাশ করেছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার। আলি দাইয়ের রেকর্ড ভেঙে একচ্ছত্রভাবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলস্কোরার হতে আরও বেশি সময় নিল। অবশ্য প্রথমার্ধে ১০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টির সুযোগে একপ্রকার রোনালদোর রেকর্ড গড়া হয়েই গেছিল। তবে বাদ সাধলো আইরিশ গোলরক্ষক বাজুনু।
আরো একবার মেতেছিলেন চেনা এই উদযাপনে।

রোনালদোকে ফিরিয়ে দেওয়া স্পট কিক নিয়েই অবশ্য বিতর্ক ছিল। পেনাল্টি সিদ্ধান্তে ভিএআর চেকের সময়ই রোনালদো পেনাল্টি স্পটে বল বসিয়ে মারার জন্য প্রস্তুতি নেন। তখনই ডারা ওশে সেই জায়গা থেকে বল সরিয়ে দেন। এরপরেই ক্ষুব্ধ রোনালদো তেড়েফুড়ে যান প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের দিকে। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টিপাত করেননি রেফারি। তবে সুযোগটা শেষ পর্যন্ত হাতছাড়াই হয় সিআরসেভেনের।

প্রথমার্ধে পেনাল্টি ছাড়াও একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে পর্তুগাল। তবে দুর্দান্ত হেডে শেষ মুহুর্তে আইরিশদের এগিয়ে দেন জন ইগান। পিছিয়ে থেকে বিরতি যেতে হয় পর্তুগিজদের।রেকর্ড গড়েই পর্তুগালকে জেতান রোনালদো।
রেকর্ড গড়েই পর্তুগালকে জেতান রোনালদো।

ঘরের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পর্তুগাল। এসময় দলকে দারুণ এক হেডে গোল করে সমতায় ফেরান রোনালদো। আর সেই সঙ্গে আলী দাইকে ছাড়িয়ে যান তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি ছিল রোনালদোর রেকর্ড ১১০তম গোল। অবশ্য যোগ করা সময়ে নিজের নামে গড়া রেকর্ডটার ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নিলেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ের ছয় মিনিটের মাথায় হেডে জালে বল জড়ান রোনালদো। তাতে ক্যারিয়ারের ১১১তম গোলটি হয়ে গেল রোনালদো। সিআরসেভেনের রেকর্ডের দিনে অবশ্য পর্তুগালকে ২-১ গোলের ব্যবধানের জয় পায়। দুটি গোলই রোনালদোর।

পর্তুগালের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর প্রথম গোল পেতে রোনালদোকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আট ম্যাচ। ২০০৪ সালের ইউরোতে পর্তুগালের প্রথম ম্যাচে গ্রিসের বিপক্ষে গোলটি পেয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। রোনালদো রেকর্ডভাঙা গোলটি পেলেন ৩৬ বছর বয়সে ১৮০তম ম্যাচে।