মনির খানঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর-হোমনা অঞ্চলিক মহাসড়কের নাগেরকান্দি স্ট্যান্ড এলাকার সড়ক ও জনপদ ও জেলা পরিষদের সড়কের দু’পাশের জমি প্রতিনিয়ত অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে। এসব জমি অবৈধ দখলদাররা কথিত মালিক সেজে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া ও বিক্রি করে লাক্ষ লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এতে করে সরকারি জমি বেদখল হয়ে লক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দখলদারদের মাধ্যমে দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপদ ও জেলা পরিষদের কোটি টাকা মূলের জমি। দখল করে গড়ে উঠেছে অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা। মুরাদনগর-হোমনা অঞ্চলিক মহাসড়কের নাগেরকান্দি স্ট্যান্ড এলাকায় এসব অবৈধ দখল বানিজ্য চললেও এটি দেখভাল করা দায়িত্ব যাদের সেই সওজ ও জেলা পরিষদেও কর্তা ব্যক্তিরাই নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগে ও জেলা পরিষদের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদেও ম্যানেজ করেই এসব দখল বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে নাগেরকান্দি এলাকায় মুরাদনগর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশের বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও বেশ কয়েকমাস পর আবারও ওই জায়গা দখল হয়ে যায়। চক্রটি অন্তত ৩০টি দোকান ঘর নির্মাণ করে তা বরাদ্দের মাধ্যমে ভাড়া ও বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি শুরু করে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ইতিপূর্বে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা আমরা উচ্ছেদ করেছিলাম। সওজ বিভাগের জায়গার পাশাপাশি সেখানে জেলা পরিষদেরও জায়গা রয়েছে। আমাদের লোকবল কম। এতোটা নজরদারি রাখা যায় না। তারপরও আমরা যেহেতু দখলের বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমরা নোটিশ দেব। তাতেও যদি স্থাপনাগুলো না সরায় তাহলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি বলেন, ‘জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের বিষয়টি সঠিক হয়ে থাকলে সেখানে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে পরিমাপ করা হবে। সড়ক ও জনপথ এবং জেলা পরিষদের জায়গা হয়ে থাকলে তাদেরকেও অবহিত করা হবে। পরে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমরা দখলদারদের নোটিশ করবো। স্থাপনা অপসারণ না করলে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।