ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে থানার সামনে পুলিশ পরিচয়ে ব্যাসায়ীর লক্ষাধীক টাকা ছিনতাই

মিাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর থানার সমনে পিকআপ ভ্যান আটকিয়ে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর দাবি ঘটনার পরদিন লিখিত অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় কর্মকর্তাদের কাছে গেলেও কোন কর্মকর্তা ওই অভিযোগ গ্রহন করেনি! অপর দিকে মুরাদনগর থানা পুলিশের দাবী কেহ অভিযোগ নিয়ে আসেনি এবং ছিনতাইয়ের বিষয়টি তাদের জানা নেই। পাল্টা পাল্টি এমন অভিযোগে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১টার দিকে মুরাদনগর থানায় প্রবেশের মূলফটকে এই ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইয়ের শিকার ও অভিযোগকারী মৎস্য ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার (৫২) মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র সরকারের ছেলে।

ছিনতাইয়ের শিকার মৎস্য ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমি মাছ ক্রয় করে শহরে নিয়ে বিক্রি করি। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকা থেকে মাছ ক্রয় করতে যাই। সেখান থেকে যে পরিমাণ মাছ ক্রয় করার কথা ছিল তা করতে না পারায় আমার কাছে নগদ ১ লক্ষ টাকা থেকে যায়। রাত ১টার দিকে পিকআপ ভ্যানে করে মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ পরিচয়ে একটি সাদা প্রাইভেটকার ও দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৬ জন ব্যক্তি আমাদেরকে আটকায়। তারা তখন তল্লাশি করতে চাইলে আমরা তাদেরকে থানায় যেতে বলি। একপর্যায়ে তারা আমাদেরকে থানার মূলফটকের সামনে নিয়ে আসে। আমরা থানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তারা জোরপূর্বক সেখানে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার এর কাছে থাকা ২হাজার টাকা ও তার কাছে রাখা আমার ১ লক্ষ টাকা তারা মারধর করে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ডাকাডাকি করলে তারা দ্রæত সেই প্রাইভেটকার ও দুইটি মোটরসাইকেল যুগে গোমতী নদীর বেরীবাঁধের উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে চলে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানায় জানানো হলে। তারা পরদিন সকালে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেন। বুধবার সকাল ১০টায় অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও দুপুর পর্যন্ত থানায় কর্মরত কেউই আমার অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি না হওয়া বাড়িতে চলে আসি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে থানার সামনে পুলিশ পরিচয়ে ব্যাসায়ীর লক্ষাধীক টাকা ছিনতাই

আপডেট সময় ০৯:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

মিাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর থানার সমনে পিকআপ ভ্যান আটকিয়ে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর দাবি ঘটনার পরদিন লিখিত অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় কর্মকর্তাদের কাছে গেলেও কোন কর্মকর্তা ওই অভিযোগ গ্রহন করেনি! অপর দিকে মুরাদনগর থানা পুলিশের দাবী কেহ অভিযোগ নিয়ে আসেনি এবং ছিনতাইয়ের বিষয়টি তাদের জানা নেই। পাল্টা পাল্টি এমন অভিযোগে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১টার দিকে মুরাদনগর থানায় প্রবেশের মূলফটকে এই ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইয়ের শিকার ও অভিযোগকারী মৎস্য ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার (৫২) মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র সরকারের ছেলে।

ছিনতাইয়ের শিকার মৎস্য ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমি মাছ ক্রয় করে শহরে নিয়ে বিক্রি করি। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকা থেকে মাছ ক্রয় করতে যাই। সেখান থেকে যে পরিমাণ মাছ ক্রয় করার কথা ছিল তা করতে না পারায় আমার কাছে নগদ ১ লক্ষ টাকা থেকে যায়। রাত ১টার দিকে পিকআপ ভ্যানে করে মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ পরিচয়ে একটি সাদা প্রাইভেটকার ও দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৬ জন ব্যক্তি আমাদেরকে আটকায়। তারা তখন তল্লাশি করতে চাইলে আমরা তাদেরকে থানায় যেতে বলি। একপর্যায়ে তারা আমাদেরকে থানার মূলফটকের সামনে নিয়ে আসে। আমরা থানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তারা জোরপূর্বক সেখানে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার এর কাছে থাকা ২হাজার টাকা ও তার কাছে রাখা আমার ১ লক্ষ টাকা তারা মারধর করে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ডাকাডাকি করলে তারা দ্রæত সেই প্রাইভেটকার ও দুইটি মোটরসাইকেল যুগে গোমতী নদীর বেরীবাঁধের উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে চলে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানায় জানানো হলে। তারা পরদিন সকালে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেন। বুধবার সকাল ১০টায় অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও দুপুর পর্যন্ত থানায় কর্মরত কেউই আমার অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি না হওয়া বাড়িতে চলে আসি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।