ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সপ্তম শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষন:ধর্ষক গ্রেফতার

বেলাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের এক মুসলমান ও কাজিয়াতল রহিম-রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৩) জোর পূর্বক ধর্ষন করেছে একই গ্রামের সুবল সুত্রধর (২৩) নামের এক যুবক। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষিতার বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে রাত সাড়ে ৯টায় মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষনের অভিযোগে মুরাদনগর থানা পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে।
ধর্ষক একই গ্রামের হারাধন সুত্রধরের ছেলে সুবল সুত্রধর।
ধর্ষনের স্বীকার কাজিয়াতল রহিম-রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনির ছাত্রী ও একই গ্রামের দরিদ্র রিকসা চালকের মেয়ে।
স্থানিয় সুত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের তাহের গত ২৯ অক্টোবর বাড়িতে না থাকায় তাহেরের স্ত্রীর সাথে রাতে থাকার জন্য পাশের বাড়ির দরিদ্র রিকসা চালকের সপ্তম শ্রেনিতে পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে আসে। মধ্য রাতে প্রকৃতির ডাকে ওই মেয়েটি  ও তার চাচী ঘর থেকে বেড় হলে একই গ্রামের হারাধন সুত্রধরের ছেলে সুবল সুত্রধর, কৃষ্ণার ছেলে সুমন(২৫), খোরশেদ আলমের ছেলে মোস্তফা(২০) ও হারুনুর রশিদের ছেলে দেলোয়ার (২২) জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে তাহেরের বাড়ির পূব-দক্ষিন দিকে পুকুর পাড়ে নিয়ে হারাধনের ছেলে সুবল জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় মেয়েটির আর্ত চিৎকারে স্থানিয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। লোক লজ্জার কারনে অসহায় মেয়েটির পরিবার গুমরে গুমরে কান্না কাটি করছে। ধর্ষনের বিচার চেয়ে তার পরিবার গ্রামের লোকজনের কাছে বার বার ধরনা দিলে ও মাতবরা সময় ক্ষেপন করে ধর্ষনের আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত সুবল সুত্রধর গত ১ নভেম্বর  ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলে যে এ ঘটনায় তার কিছুই হবে না এ সময় স্থানিয় লোকজন তাকে ধরে কিছু উত্তম-মধ্যম দেয়। সে ওই দিনই উল্টো ফাঁসানোর জন্য ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানিয় লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা করার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেকেক্স ভর্তি হলে মুরাদনগর থানার এস আই আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল চেকআপ করার জন্য শুক্রবার সকালে তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানায়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে ভিকটিম ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে মেডিকেল চেকআপ করা হবে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুবল নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতকে শুক্রবার সকালে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে সপ্তম শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষন:ধর্ষক গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৪:২৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬
বেলাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের এক মুসলমান ও কাজিয়াতল রহিম-রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৩) জোর পূর্বক ধর্ষন করেছে একই গ্রামের সুবল সুত্রধর (২৩) নামের এক যুবক। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষিতার বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে রাত সাড়ে ৯টায় মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষনের অভিযোগে মুরাদনগর থানা পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে।
ধর্ষক একই গ্রামের হারাধন সুত্রধরের ছেলে সুবল সুত্রধর।
ধর্ষনের স্বীকার কাজিয়াতল রহিম-রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনির ছাত্রী ও একই গ্রামের দরিদ্র রিকসা চালকের মেয়ে।
স্থানিয় সুত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের তাহের গত ২৯ অক্টোবর বাড়িতে না থাকায় তাহেরের স্ত্রীর সাথে রাতে থাকার জন্য পাশের বাড়ির দরিদ্র রিকসা চালকের সপ্তম শ্রেনিতে পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে আসে। মধ্য রাতে প্রকৃতির ডাকে ওই মেয়েটি  ও তার চাচী ঘর থেকে বেড় হলে একই গ্রামের হারাধন সুত্রধরের ছেলে সুবল সুত্রধর, কৃষ্ণার ছেলে সুমন(২৫), খোরশেদ আলমের ছেলে মোস্তফা(২০) ও হারুনুর রশিদের ছেলে দেলোয়ার (২২) জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে তাহেরের বাড়ির পূব-দক্ষিন দিকে পুকুর পাড়ে নিয়ে হারাধনের ছেলে সুবল জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় মেয়েটির আর্ত চিৎকারে স্থানিয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। লোক লজ্জার কারনে অসহায় মেয়েটির পরিবার গুমরে গুমরে কান্না কাটি করছে। ধর্ষনের বিচার চেয়ে তার পরিবার গ্রামের লোকজনের কাছে বার বার ধরনা দিলে ও মাতবরা সময় ক্ষেপন করে ধর্ষনের আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত সুবল সুত্রধর গত ১ নভেম্বর  ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলে যে এ ঘটনায় তার কিছুই হবে না এ সময় স্থানিয় লোকজন তাকে ধরে কিছু উত্তম-মধ্যম দেয়। সে ওই দিনই উল্টো ফাঁসানোর জন্য ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানিয় লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা করার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেকেক্স ভর্তি হলে মুরাদনগর থানার এস আই আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল চেকআপ করার জন্য শুক্রবার সকালে তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানায়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে ভিকটিম ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে মেডিকেল চেকআপ করা হবে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুবল নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতকে শুক্রবার সকালে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।