ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যোগসাধনায় ঈমান নষ্ট হয় : হেফাজত

ধর্ম ও জীবনঃ
হেফাজতে ইসলাম বলেছে, হিন্দু দর্শনের যোগসাধনার সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।যোগ হিন্দু উপাসনার একটি অংশ। এটি মুসলমানদের ঈমান আকিদার বিরোধী। যেসব মুসলিম হিন্দুদের ধর্মীয় যোগসাধনায় অংশ নেবেন, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। তবে জিমন্যাশিয়ামে গিয়ে শরীরচর্চার সঙ্গে ঈমান-আকিদার বিরোধ নেই বলে জানিয়েছে হেফাজত।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হেফাজত ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এসব কথা বলেন। ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে আগামী ২১ জুন জাতীয় জাদুঘরে যোগব্যায়ামের বিশ্বদিবস পালনের প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম শাখার একটি হচ্ছে যোগ। ‘যোগ’শব্দটি হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের ধ্যানপ্রণালীকেও নির্দেশ করে। হিন্দু দর্শনের নির্দেশিত বিশেষ ব্যয়াম ও শারীরিক কসরত এবং ধ্যান ও তপস্যার সংযোগে যোগচর্চা করা হয়। যোগসাধনা বা যোগদর্শন নিছক শারীরিক ব্যয়াম মাত্র নয়, বরং এর সঙ্গে ধর্মীয়ভাবে হিন্দু দর্শনের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। যোগসাধনা সম্পর্কে বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে আলোচনাও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই যোগসাধনায় মুসলমানদের অংশগ্রহণ করা তাদের ঈমান-আকিদার হানি ঘটাবে। বরং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই হচ্ছে সর্বোত্তম, যা ফরজ এবাদত এবং আধ্যাত্মিক, মনোসংযোগ, চিন্তন ও শারীরিক সব ক্ষেত্রেই উপকারী।
তবে জিমন্যাশিয়ামে গিয়ে শরীরচর্চার সঙ্গে ঈমান-আকিদার বিরোধ নেই জানিয়ে হেফাজত নেতা বলেন, হিন্দু ধর্মের যোগশাস্ত্রকে ‘সার্বজনীন’বলে মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন মৌলবাদী দল বিজেপি হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে যোগশাস্ত্রকে ব্যবহার করছে। যোগ হিন্দু উপাসনার একটি অংশ, কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা সবার ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন। আমরা চাই প্রতিবেশী প্রভাবশালী দেশ হিসেবে ভারত আমাদের নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল থাকবে।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

যোগসাধনায় ঈমান নষ্ট হয় : হেফাজত

আপডেট সময় ১২:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
ধর্ম ও জীবনঃ
হেফাজতে ইসলাম বলেছে, হিন্দু দর্শনের যোগসাধনার সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।যোগ হিন্দু উপাসনার একটি অংশ। এটি মুসলমানদের ঈমান আকিদার বিরোধী। যেসব মুসলিম হিন্দুদের ধর্মীয় যোগসাধনায় অংশ নেবেন, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। তবে জিমন্যাশিয়ামে গিয়ে শরীরচর্চার সঙ্গে ঈমান-আকিদার বিরোধ নেই বলে জানিয়েছে হেফাজত।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হেফাজত ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এসব কথা বলেন। ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে আগামী ২১ জুন জাতীয় জাদুঘরে যোগব্যায়ামের বিশ্বদিবস পালনের প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম শাখার একটি হচ্ছে যোগ। ‘যোগ’শব্দটি হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের ধ্যানপ্রণালীকেও নির্দেশ করে। হিন্দু দর্শনের নির্দেশিত বিশেষ ব্যয়াম ও শারীরিক কসরত এবং ধ্যান ও তপস্যার সংযোগে যোগচর্চা করা হয়। যোগসাধনা বা যোগদর্শন নিছক শারীরিক ব্যয়াম মাত্র নয়, বরং এর সঙ্গে ধর্মীয়ভাবে হিন্দু দর্শনের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। যোগসাধনা সম্পর্কে বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে আলোচনাও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই যোগসাধনায় মুসলমানদের অংশগ্রহণ করা তাদের ঈমান-আকিদার হানি ঘটাবে। বরং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই হচ্ছে সর্বোত্তম, যা ফরজ এবাদত এবং আধ্যাত্মিক, মনোসংযোগ, চিন্তন ও শারীরিক সব ক্ষেত্রেই উপকারী।
তবে জিমন্যাশিয়ামে গিয়ে শরীরচর্চার সঙ্গে ঈমান-আকিদার বিরোধ নেই জানিয়ে হেফাজত নেতা বলেন, হিন্দু ধর্মের যোগশাস্ত্রকে ‘সার্বজনীন’বলে মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন মৌলবাদী দল বিজেপি হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে যোগশাস্ত্রকে ব্যবহার করছে। যোগ হিন্দু উপাসনার একটি অংশ, কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা সবার ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন। আমরা চাই প্রতিবেশী প্রভাবশালী দেশ হিসেবে ভারত আমাদের নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল থাকবে।
ইত্তেফাক