ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলে ‘রহস্যময়’ অক্সিজেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

এখনো কি তা হলে প্রাণ টিকে আছে আমাদের নাগালে থাকা গ্রহ মঙ্গলে? ‘লাল গ্রহ’ কি তাহলে মরে যায়নি পুরোপুরি? মঙ্গলের বাতাসে ‘রহস্যময়’ অক্সিজেনের অস্তিত্ব মেলায় এমন প্রশ্ন তুলেছেন গবেষকরা।

তারা বলছেন, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে এই প্রথম হদিস মিলেছে অক্সিজেন অণুর, যা পৃথিবীতে প্রাণের বেঁচে থাকার প্রধান জ্বালানি। ফলে, এই আবিষ্কার ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনাকে আরো জোরালো করে তুলেছে। নাসার রোভার ‘কিউরিওসিটি’র পাঠানো তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে লেখা সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ: প্ল্যানেটস’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায়। তবে গবেষকরা একটি চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন।

তাদের মতে, এই অক্সিজেন রীতিমতো রহস্যময়। এটি পৃথিবীর মতো স্থির নয়, পরিমাণে কমে-বাড়ে। মঙ্গলের খুব পাতলা হয়ে আসা বায়ুমণ্ডলে অন্য গ্যাসের সঙ্গে এখনো রয়েছে অক্সিজেন অণু, যা দুটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গড়া। ঠিক পৃথিবীর মতোই। আর তার পরিমাণটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ।

গবেষকরা বলেছেন, ‘যা আমাদের অবাক করে দিয়েছে, তা হচ্ছে— মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের সেই অক্সিজেনের পরিমাণটা কোনো ঋতুতে বাড়ে আবার কোনো ঋতুতে কমে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা কখনো ঘটে না। মঙ্গলে যখন বসন্ত আসে, তখন বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ এক লাফে প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়। তার পর বছর যত এগোয়, ততই তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

এটা কেন হয়, এখনো তা আমাদের কাছে চরম বিস্ময়। এই লাল গ্রহে এখনো পর্যন্ত গাছপালার সন্ধান মেলেনি। মেলেনি কোনো ধরনের প্রাণের অস্তিত্বও। তাহলে বসন্তে কারা বাতাসে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে সেটি এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।’—আনন্দবাজার

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মঙ্গলে ‘রহস্যময়’ অক্সিজেন

আপডেট সময় ০১:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

এখনো কি তা হলে প্রাণ টিকে আছে আমাদের নাগালে থাকা গ্রহ মঙ্গলে? ‘লাল গ্রহ’ কি তাহলে মরে যায়নি পুরোপুরি? মঙ্গলের বাতাসে ‘রহস্যময়’ অক্সিজেনের অস্তিত্ব মেলায় এমন প্রশ্ন তুলেছেন গবেষকরা।

তারা বলছেন, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে এই প্রথম হদিস মিলেছে অক্সিজেন অণুর, যা পৃথিবীতে প্রাণের বেঁচে থাকার প্রধান জ্বালানি। ফলে, এই আবিষ্কার ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনাকে আরো জোরালো করে তুলেছে। নাসার রোভার ‘কিউরিওসিটি’র পাঠানো তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে লেখা সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ: প্ল্যানেটস’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায়। তবে গবেষকরা একটি চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন।

তাদের মতে, এই অক্সিজেন রীতিমতো রহস্যময়। এটি পৃথিবীর মতো স্থির নয়, পরিমাণে কমে-বাড়ে। মঙ্গলের খুব পাতলা হয়ে আসা বায়ুমণ্ডলে অন্য গ্যাসের সঙ্গে এখনো রয়েছে অক্সিজেন অণু, যা দুটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গড়া। ঠিক পৃথিবীর মতোই। আর তার পরিমাণটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ।

গবেষকরা বলেছেন, ‘যা আমাদের অবাক করে দিয়েছে, তা হচ্ছে— মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের সেই অক্সিজেনের পরিমাণটা কোনো ঋতুতে বাড়ে আবার কোনো ঋতুতে কমে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা কখনো ঘটে না। মঙ্গলে যখন বসন্ত আসে, তখন বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ এক লাফে প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়। তার পর বছর যত এগোয়, ততই তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

এটা কেন হয়, এখনো তা আমাদের কাছে চরম বিস্ময়। এই লাল গ্রহে এখনো পর্যন্ত গাছপালার সন্ধান মেলেনি। মেলেনি কোনো ধরনের প্রাণের অস্তিত্বও। তাহলে বসন্তে কারা বাতাসে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে সেটি এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।’—আনন্দবাজার