ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রতিবন্ধি বোনকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় ভাইকে কুপিয়ে জখম

মো: মোশাররফ হোসেন মনির/ আজিজুর রহমান রনিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভাঙ্গানগর গ্রামে নূরী আক্তার (১৫) নামে এক প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার প্রতিবাদ করায় তরুনীর ভাই নিজাম উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করেছে ধর্ষকসহ একদল বখাটে। আহত নিজাম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরকরার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য  ঘটনার মিমাংশার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহিনতায় রয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পরিবার। এতে চাঞ্চল্য ঘটনায় কালক্ষেপনে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের তৈরী হয়েছে।

ধর্ষক নজরুল ইসলাম উপজেলার ভাঙ্গানগর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে।

অভিরযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড় পিপিড়িয়া গ্রামের আফজাল শাহ্ ফকিরের বাৎর্ষরিক উরস মাহফিলে নূরী গেলে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষক নজরুল মাজারের পাশের ব্রিকস ফিল্ডে নিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা নজরুলকে আটক করে। পরে একটি মহল ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে নূরীর পরিবার বিচার চাইলে পর দিন শনিবার রাতে নূরীর ভাই নাজিম উদ্দিন বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ধষকের বাড়ীরর পাশে নজরুরের নেতৃত্বে একদল বখাটে তাকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করে।

ধর্ষিতার মা নিলুফা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ১ জানুয়ারী রবিবার নজরুলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ৫ জনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি। ওলটো নজরুলের পরিবার আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়ার কথা বলে দায়িত্ব গ্রহন করে। কিন্তু থানায় অভিযোগের ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও থানা পুলিশ ও মেম্বার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা।

এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, মেয়েটি প্রতিবন্ধি আর ছেলেটি (নজরুল) বখাটে তাই বিষয়টি লম্বা না কওে স্থানীয় ভাবে শেষ করার চেষ্ঠা করছি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসআই দেলোয়ারকে বিষটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধিকে ধর্ষন ও তার ভাইকে কুপিয়ে জখম এমন ঘটনা মেম্বার মিমাংশা করতে পারেনি বলেই মেয়ের মা থানায় অভিযোগ করেছে। ধর্ষনের আলামত পেলে মামলা হবে। সম্ভাবত ধর্ষনের কোন প্রকার আলামত পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মেম্বার সাহেব বিষয়টির ভার নিয়েছেন। দেখা যাক মেম্বার কি করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে প্রতিবন্ধি বোনকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় ভাইকে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় ০২:০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনির/ আজিজুর রহমান রনিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভাঙ্গানগর গ্রামে নূরী আক্তার (১৫) নামে এক প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার প্রতিবাদ করায় তরুনীর ভাই নিজাম উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করেছে ধর্ষকসহ একদল বখাটে। আহত নিজাম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরকরার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য  ঘটনার মিমাংশার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহিনতায় রয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পরিবার। এতে চাঞ্চল্য ঘটনায় কালক্ষেপনে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের তৈরী হয়েছে।

ধর্ষক নজরুল ইসলাম উপজেলার ভাঙ্গানগর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে।

অভিরযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড় পিপিড়িয়া গ্রামের আফজাল শাহ্ ফকিরের বাৎর্ষরিক উরস মাহফিলে নূরী গেলে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষক নজরুল মাজারের পাশের ব্রিকস ফিল্ডে নিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা নজরুলকে আটক করে। পরে একটি মহল ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে নূরীর পরিবার বিচার চাইলে পর দিন শনিবার রাতে নূরীর ভাই নাজিম উদ্দিন বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ধষকের বাড়ীরর পাশে নজরুরের নেতৃত্বে একদল বখাটে তাকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করে।

ধর্ষিতার মা নিলুফা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ১ জানুয়ারী রবিবার নজরুলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ৫ জনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি। ওলটো নজরুলের পরিবার আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়ার কথা বলে দায়িত্ব গ্রহন করে। কিন্তু থানায় অভিযোগের ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও থানা পুলিশ ও মেম্বার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা।

এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, মেয়েটি প্রতিবন্ধি আর ছেলেটি (নজরুল) বখাটে তাই বিষয়টি লম্বা না কওে স্থানীয় ভাবে শেষ করার চেষ্ঠা করছি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসআই দেলোয়ারকে বিষটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধিকে ধর্ষন ও তার ভাইকে কুপিয়ে জখম এমন ঘটনা মেম্বার মিমাংশা করতে পারেনি বলেই মেয়ের মা থানায় অভিযোগ করেছে। ধর্ষনের আলামত পেলে মামলা হবে। সম্ভাবত ধর্ষনের কোন প্রকার আলামত পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মেম্বার সাহেব বিষয়টির ভার নিয়েছেন। দেখা যাক মেম্বার কি করে।