ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা হারাম : সৌদি গ্রান্ড মুফতি

ইসলামি ডেস্ক :

রোজ বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মহানবী (স.)-এর জন্মদিন বা ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা পুরোপুরি হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল আশ-শেখ। তিনি বলেন, এই ধরনের বাড়তি আরেকটা ঈদ পালনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা পুরোপুরি হারাম ফতোয়া দিয়ে গ্রান্ড মুফতি বলেন, এটি একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন অনুশীলন এবং ইসলাম ধর্মে অবৈধভাবে তা ঢুকে পড়েছে। সৌদির রিয়াদে তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে শুক্রবারের জুম’আর খোতবায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নবীর শিক্ষা হচ্ছে, তাঁর সুন্নাহকে মেনে চলা এবং অনুশীলনের মাধ্যমে তা অনুসরণ করা। ইসলামের শুরুতে নবীর (সা.)-এর জন্মদিন উদযাপন ছিলো না। অন্তত তিন শতাব্দী পর এই রীতিটি ইসলাম ধর্মে ঢুকে পড়ে। সুতরাং বলা যায়, নবীর (সা.) জন্মদিন উদযাপন বিদআত। নিঃসন্দেহে এটি একটি পাপ অর্জনের আনুষ্ঠানিকতা।

মহানবী (স.)-কে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে হলে তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করতে হবে জানিয়ে গ্রান্ড মুফতি বলেন, নবীজির সুন্নাহকে নিয়মিতভাবে পালন করার নামই প্রকৃত ভালবাসা।

তিনি কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে বলেন, আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং তোমার পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ অন্য এক স্থানে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই রাসুল (স.)-এর মধ্যেই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা হারাম : সৌদি গ্রান্ড মুফতি

আপডেট সময় ০৩:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

ইসলামি ডেস্ক :

রোজ বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

মহানবী (স.)-এর জন্মদিন বা ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা পুরোপুরি হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল আশ-শেখ। তিনি বলেন, এই ধরনের বাড়তি আরেকটা ঈদ পালনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা পুরোপুরি হারাম ফতোয়া দিয়ে গ্রান্ড মুফতি বলেন, এটি একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন অনুশীলন এবং ইসলাম ধর্মে অবৈধভাবে তা ঢুকে পড়েছে। সৌদির রিয়াদে তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে শুক্রবারের জুম’আর খোতবায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নবীর শিক্ষা হচ্ছে, তাঁর সুন্নাহকে মেনে চলা এবং অনুশীলনের মাধ্যমে তা অনুসরণ করা। ইসলামের শুরুতে নবীর (সা.)-এর জন্মদিন উদযাপন ছিলো না। অন্তত তিন শতাব্দী পর এই রীতিটি ইসলাম ধর্মে ঢুকে পড়ে। সুতরাং বলা যায়, নবীর (সা.) জন্মদিন উদযাপন বিদআত। নিঃসন্দেহে এটি একটি পাপ অর্জনের আনুষ্ঠানিকতা।

মহানবী (স.)-কে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে হলে তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করতে হবে জানিয়ে গ্রান্ড মুফতি বলেন, নবীজির সুন্নাহকে নিয়মিতভাবে পালন করার নামই প্রকৃত ভালবাসা।

তিনি কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে বলেন, আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং তোমার পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ অন্য এক স্থানে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই রাসুল (স.)-এর মধ্যেই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে।